পতন রুখলেন তামিম-মুশফিক
সকালের সেশনটা যদি হয় স্বপ্নময়, দুপুরের সেশনটি তাহলে উল্টো। কোনো উইকেট না হারিয়ে বাংলাদেশ দল মধ্যাহ্নভোজনে গিয়েছিল স্কোরবোর্ডে ১৫৭ রান নিয়ে। একবার জীবন পেলেও অর্ধশতক তুলে স্বাচ্ছন্দ্যেই খেলছিলেন মাহমুদুল হাসান।
তামিম ইকবাল তো ধ্রুপদি ব্যাটিংয়ে এগোচ্ছিলেন নিজের দশম টেস্ট সেঞ্চুরির দিকে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টে তৃতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশনে তাই বাংলাদেশের অর্জনের ছিল অনেক কিছুই।
কিন্তু শ্রীলঙ্কা দ্রুত তিন উইকেট নিয়ে দিনের দ্বিতীয় সেশনটি বাংলাদেশের হতে দেয়নি। চা বিরতির আগে ৭২ ওভারে ৩ উইকেটে ২২০ রান তুলেছে বাংলাদেশ দল। ক্রিজে আছেন ১৩৩ রান করা তামিম। ১৪ রান করে তাঁকে সঙ্গ দিচ্ছেন আরেক অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম। শ্রীলঙ্কার প্রথম ইনিংস থেকে এখনো ১৭৭ রানে পিছিয়ে বাংলাদেশ।
দ্বিতীয় সেশনে প্রথম ধাক্কাটা আসে মাহমুদুলের ভুলে। নতুন সেশনের শুরুতেই ‘শর্ট বল তত্ত্ব’ কাজে লাগিয়ে মাহমুদুলের ব্যাটিং পরিকল্পনা এলোমেলো করে দেন আসিতা ফার্নান্দো। ইনিংসের ৪৮তম ওভারের পঞ্চম বলে ফার্নান্দোর লেগে কট বিহাইন্ড হন ১৪২ বল খেলে ৫৮ রান করা মাহমুদুল। উইকেটে থিতু হওয়া মাহমুদুলের আউটটা বড় ক্ষতিই হয়ে দাঁড়ায় বাংলাদেশের জন্য।
বিশ্ব ফার্নান্দোর কনকাশন বদলি হিসেবে মাঠে নামা কাসুন রাজিথা তাঁর প্রথম ওভারেই আউট করেন তিনে নামা নাজমুল হোসেনকে। ৫৫তম ওভারে ফুল লেংথের বলে ড্রাইভ করার চেষ্টায় ২ রান করে কট বিহাইন্ড হন তিনি।
মুমিনুলও আউট হন রাজিথার শিকার হয়ে। ৬১তম ওভারে রাউন্ড দ্য উইকেট থেকে অ্যাঙ্গেলে ভেতরে আসা বলটি ডিফেন্ড করার চেষ্টা করলেও ব্যাট আর প্যাডের বিশাল ফাঁক দিয়ে ঢুকে স্টাম্প ভেঙেছে। ১৯ বল খেলে ২ রানে আউট হন তিনিও। এরপর মুশফিকের সঙ্গে ৩৬ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে সেশনের বাকি সময়টা পার করেন তামিম।