নেপালিদের কাছে সৌম্যরা অচেনা নয়
>ক্রিকেটের একটা টুর্নামেন্ট বা সিরিজের সঙ্গে অনেক পার্থক্য এসএ গেমসের মতো ক্রীড়া প্রতিযোগিতার। এই পার্থক্যটা ভালোই উপভোগ করছেন সৌম্য সরকাররা। উপভোগ্য ছিল, গেমসের উদ্বোধনী মার্চপাস্ট; নেপালে নিজেদের জনপ্রিয়তাও।
ক্রিকেটের অন্য সিরিজ-টুর্নামেন্টের সঙ্গে এসএ গেমসের সবচেয়ে বড় যে পার্থক্যটা মনে হয়েছে সৌম্য সরকারের—উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মার্চপাস্ট করা। নিজের দেশের তো বটেই, প্রতিবেশী দেশের অ্যাথলেটদের এভাবে এক সঙ্গে দেখার সুযোগ আগে কখনো হয়নি। এবার কাঠমান্ডুতে যেটা হয়েছে।
আরও কিছু ছোটখাটো পার্থক্য চোখে পড়েছে সৌম্যর। ক্রিকেটের সিরিজ বা টুর্নামেন্টের সব আয়োজন থাকে ক্রিকেটারদের ঘিরেই। গেমসে তা নয়। এখানে অনেক রকম ইভেন্ট। ক্রিকেটকে আলাদা গুরুত্ব দেওয়ার কারণ নেই। আর খেলাটা এমন দেশে হচ্ছে, যারা বাংলাদেশের মতো অতটা ক্রিকেট-পাগল নয়। কাঠমান্ডুতে উন্নত ক্রিকেটীয় সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যাবে না, সেটিও অস্বাভাবিক নয়।
ত্রিভুবন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠে বাংলাদেশ তাই খুব একটা ঝালিয়ে নেওয়ার সুযোগ পায়নি। নির্বাচক ও দলের ম্যানেজার হাবিবুল বাশার, একে বড় সমস্যা হিসেবে দেখতে চান না, ‘নেটের উইকেট খুব একটা সুবিধার নয়। চোটাঘাতের আশঙ্কায় খুব একটা স্কিল অনুশীলন করিনি। এটা অবশ্য বড় সমস্যা না। সমস্যা হলে শুধু বাংলাদেশ দলেরই নয়, সব দলেরই হবে। আমরা অনেক দিন ধরে খেলার মধ্যে আছি, প্রস্তুতি ঠিকই আছে।’
নেপাল ক্রিকেট-পাগল দেশ না হলেও বাংলাদেশ দলের খোঁজখবর তারা ভালোই রাখে। নেপাল থেকে মুঠোফোনে হাবিবুল যেমন বললেন, ‘বাংলাদেশের খেলা তারা ভালোভাবেই দেখে। বিপিএলের খোঁজখবর রাখে। আমাদের বেশির ভাগ খেলোয়াড় তাদের কাছে পরিচিত। সৌম্যকে মনে হলো সবচেয়ে ভালো চেনে। অনেক দিন ধরে সে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে, সেটা একটা কারণ।’
নেপালে জনপ্রিয়তা কেমন উপভোগ করছেন, এটি জানতে চাইলে অবশ্য সৌম্য লাজুক হাসলেন। হাবিবুল যেটা বললেন, অনেক দিন ধরে বাঁ হাতি ওপেনার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছেন—এটাই সৌম্যর বড় চ্যালেঞ্জ, বড় চাপও। দলের সিনিয়র সদস্য হিসেবে তাঁকে ধারাবাহিক ভালো খেলতে হবে। কাঠমান্ডুতে ভালো খেলার বড় চ্যালেঞ্জ কন্ডিশন। সকাল আর রাতে শীতের প্রকোপ। উচ্চতাও একটা ব্যাপার। তুলনামূলক একটু দ্রুতই ক্লান্ত হয়ে যেতে হচ্ছে। বাংলাদেশের ছেলেদের দল কাল সকালে শুরু করতে যাচ্ছে এসএ গেমস অভিযান। প্রতিপক্ষ বেশ অচেনাই—মালদ্বীপ।