সংবাদ সম্মেলনে বললেন মুমিনুল হক
‘নিউজিল্যান্ডের পেসারদের চ্যালেঞ্জ নেওয়ার সামর্থ্য আমাদের আছে’
টিম সাউদি, ট্রেন্ট বোল্ট, নিল ওয়াগনাররা আগে থেকেই ছিলেন। সাউদি কদিন আগেই ছুঁয়েছেন ৩০০ উইকেটের মাইলফলক। ২৯২ উইকেট নিয়ে কাছাকাছি আছেন বোল্টও। আড়াই শর কাছাকাছি আছেন সাউদি-বোল্টের তুলনায় কম টেস্ট খেলা ওয়াগনার।
এই তিন পেসারে সাজানো নিউজিল্যান্ড বোলিং আক্রমণ আগে থেকেই ভয়ংকর। বোল্ট-সাউদির সিম ও সুইং থেকে বাঁচলেও ওয়াগনারের বাউন্সার থেকে বাঁচা মুশকিল।
গত বছর এই তালিকায় যোগ দেন ৬ ফুট ৭ ইঞ্চি উচ্চতার ২৭ বছর বয়সী কাইল জেমিসন। ১০ টেস্ট খেলা এই পেসার এর মধ্যেই পাঁচবার ৫ উইকেট নিয়েছেন। তাঁর বোলিং গড় ১৬! জেমিসনের বোলিংয়ে এ বছর টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতেছে নিউজিল্যান্ড। এককথায়, চার পেসারে সাজানো নিউজিল্যান্ড বোলিং আক্রমণ অপ্রতিরোধ্য।
দলটির পেস বোলিং কোচ শেন জারগেনসন তো চার পেসারের এই বোলিং আক্রমণকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ স্বর্ণযুগের পেস আক্রমণের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। আর খেলাটা যখন নিজেদের আঙ্গিনায়, তাহলে তো কথাই নেই!
প্রায় নবীন ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে এই চার পেসারের নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে কাল বাংলাদেশ সময় ভোররাত চারটায় খেলতে নামবে বাংলাদেশ দল। যেখানে মুশফিকুর রহিম ও মুমিনুল হক ছাড়া অভিজ্ঞ বলতে কেউই নেই। সাদমান ইসলাম, মাহমুদুল হাসান, নাজমুল হোসেন, ইয়াসির আলীদের জন্য যে পাহাড়সম চ্যালেঞ্জই অপেক্ষা করছে!
আজ অধিনায়ক মুমিনুল হক ম্যাচ–পূর্ব অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে বলছিলেন সে কথাই, ‘ওদের পেস বোলিংই সবচেয়ে বেশি চ্যালেঞ্জ হবে। এই চ্যালেঞ্জ নেওয়ার মতো সামর্থ্য আমাদের আছে, নেওয়া উচিত।’
নেতিবাচক পরিস্থিতির মধ্যেও মুমিনুল কিছু ইতিবাচক বিষয় খুঁজে বের করেছেন, ‘বিদেশের মাটিতে খেলার সময় মানসিকতাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। উইকেট খুব চ্যালেঞ্জিং হবে—এ রকম চিন্তা করলে হবে না। আমার কাছে মনে হয় ব্যাটিং করলে ব্যাটাররা উপভোগ করবে, বোলাররাও বল করে মজা পাবে। প্রথম দিকে চ্যালেঞ্জ হয়তো একটু বেশি থাকবে। নিউজিল্যান্ডে সব সময় প্রথম এক-দেড় ঘণ্টা চ্যালেঞ্জিং হয়। সেটা শুধু নিউজিল্যান্ড না, সব জায়গায়ই থাকে।’
নিউজিল্যান্ডে বাংলাদেশের অতীত রেকর্ডে শুধু-ই আঁধার। টেস্ট অধিনায়ক সেদিকে না তাকিয়ে ভবিষ্যতের সম্ভাবনা নিয়ে ভাবছেন। দল হিসেবে খেললে বাংলাদেশ ভালো খেলে—এই তত্ত্বই নাকি বাংলাদেশকে কিউই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার আত্মবিশ্বাস জোগাচ্ছে, ‘অতীত নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করে কোনো লাভ হবে না। ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তাভাবনা করাই ভালো। সব সময় আশাব্যঞ্জক ও ইতিবাচক চিন্তা করা উচিত।
নিউজিল্যান্ডে অবশ্যই অনেক বেশি চ্যালেঞ্জ থাকবে। আগে থেকেই যদি নেতিবাচক চিন্তা করেন, তাহলে ভালো ফলাফল আসবে না। যত চ্যালেঞ্জ থাকুক, আশাবাদী থাকা গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যতগুলো টেস্ট জিতেছি, তা দলগত পারফরম্যান্সের কারণে। সেদিকেই মনোযোগ দিতে হবে।’