নিউজিল্যান্ডে প্রাপ্তির খাতায় কিছু যোগের আশা সাইফউদ্দিনের
কোয়ারেন্টিনের ফাঁকে ফাঁকে আশপাশের গণ্ডির মধ্যেই অল্প সময়ের জন্য মুক্ত বাতাসে হাঁটাচলা করতে পেরেছেন বাংলাদেশের খেলোয়াড়েরা। নিউজিল্যান্ড সফরের প্রথম সাতটি দিন এভাবেই কেটেছে তামিম ইকবাল-সাইফউদ্দিনদের। কোয়ারেন্টিন শেষ হয়ে গেছে। এরপর আজই প্রথম বুকভরে বেশি করে মুক্ত বাতাস নিতে পেরেছেন তাঁরা। নেমেছেন অনুশীলনেও।
প্রথম দিনের অনুশীলন শেষে বাংলাদেশের পেসার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন জানালেন নিউজিল্যান্ড সফরে দলের লক্ষ্যের কথা। নিউজিল্যান্ডে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত ৯টি টেস্ট, ১৩টি ওয়ানডে ও ৪টি টি-টোয়েন্টি খেলেছে। একটি ম্যাচও জিততে পারেনি।
৯ টেস্টে একটি ড্রও নেই। এবারের নিউজিল্যান্ড সফরে অবশ্য টেস্ট খেলবে না বাংলাদেশ। ৩টি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলে বাড়ি ফিরবেন সাইফউদ্দিনরা। এবারকার দেশে ফেরাটা সুখময় করে তুলতে চান বাংলাদেশের পেসার।
আজ অনুশীলন শেষে সাইফউদ্দিন বলেছেন, ‘নিউজিল্যান্ডে আমাদের প্রাপ্তির খাতা একেবারেই শূন্য। এবার আমাদের চেষ্টা থাকবে এবারের সিরিজ থেকে কিছু যেন নিয়ে যেতে পারি।’
সাইফউদ্দিন যে এবার প্রাপ্তির খাতায় কিছু যোগ করার আশা দেখছেন, সেটার যথেষ্ট কারণও আছে। অনেক দিন হয়েছে বাংলাদেশ ওয়ানডেতে ‘ভালো দল’ হিসেবে সুনাম কুড়িয়েছে।
সাইফউদ্দিনও এটাই মনে করেন। আর এটাই তাঁকে স্বপ্ন দেখাচ্ছে এবার কিছু একটা করার, ‘প্রত্যাশা অবশ্যই থাকবে। কারণ, ওয়ানডেতে আমরা অনেক ভালো দল। আমরা সবাই যদি নিজেদের সেরাটা খেলতে পারি, দিনটা যদি আমাদের হয়, অবশ্যই ফল আমাদের পক্ষে কথা বলবে।’
ওয়ানডেতে বাংলাদেশ টেস্টের চেয়ে অনেকটাই ভালো, তা সম্প্রতি ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজেও দেখিয়েছে। টেস্ট সিরিজ হারার আগে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ধবলধোলাই করেছিল বাংলাদেশ।
ঘর আর প্রতিপক্ষের মাঠ মিলিয়ে সর্বশেষ ২১টি ওয়ানডে ম্যাচের ১৩টিতেই জয় পেয়েছেন তামিম-মুশফিকরা। তবে নিউজিল্যান্ড থেকে জিতে আসতে হলে সেখানকার কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে আগে।
সেই মানিয়ে নেওয়ার কাজটা আজ থেকে শুরু করেছেন বাংলাদেশের খেলোয়াড়েরা। প্রথম দিনের অনুশীলন শেষে সাইফউদ্দিন বলেছেন, ‘সাত দিন হোম কোয়ারেন্টিন করার পর আজ ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে অনুশীলন করেছি। এভাবে কোয়ারেন্টিন মেনে নিউজিল্যান্ডে আসার অভিজ্ঞতা আমাদের প্রথম। তবে সবকিছু ভালোই ছিল। একজন ক্রীড়াবিদ হিসেবে আমরা সব সময়ই সব ধরনের পরিস্থিতিতে নিজেদের মানিয়ে নিতে চেষ্টা করি।’
প্রথম দিনের অনুশীলন নিয়ে বাংলাদেশের পেসার বলেছেন, ‘আজ অনুশীলনে আমরা ফিল্ডিংটা নিয়ে সবচেয়ে বেশি কাজ করেছি। বিশেষ করে শর্ট ক্যাচ এবং হাই ক্যাচ নিয়ে কাজ করেছি। কারণ, এখানে আবহাওয়া এবং বাতাসের একটা ব্যাপার থাকে। সেটার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার জন্যই ক্যাচিং অনুশীলন করা। এরপর আমরা ছোট ছোট সেশনে ব্যাটিং আর বোলিং করেছি।’
ব্যাটিং-বোলিংয়ের বাইরেও কিছু কাজ করেছেন সাইফউদ্দিনরা। সেসব নিয়ে সাইফউদ্দিন বলেছেন, ‘সবার শেষে আমরা একটু ফিটনেস নিয়েও কাজ করেছি; যেহেতু আমরা সাত দিন ফিটনেস নিয়ে তেমন কাজ করতে পারিনি। এরপর আমরা রানিংও করেছি। আর সেটা ট্রেনারের নির্দেশনা মেনেই। আরও যত দিন সময় পাব ছোট ছোট প্র্যাকটিস সেশন করে নিজেদের ঝালিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করব।’