বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা কথাটা অনেকবারই বলেছেন। কথাটা এই যে, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খেলার সময় যতটা চাপ থাকে, বড় দলের বিপক্ষেও ততটা থাকে না। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সবাই আশা করে, বাংলাদেশ প্রতিটি ম্যাচ জিতবে। চাপ সেখানেই।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সব ম্যাচ জয়ের প্রত্যাশাটা স্বাভাবিক। হারলেই বিপদ। সবাই ফোড়ন কেটে বলবে, দেখো, জিম্বাবুয়ের মতো দলের বিপক্ষে হেরেছে! জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের প্রতি যথাযথ শ্রদ্ধা রেখেই কিন্তু এমন ভাবনাটা সবার। নইলে পাকিস্তান টেস্ট দলের ব্যাটসম্যান আজহার আলী বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের সুরে সুর মিলিয়ে কেন বলেবন, প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে বলেই চাপটা একটু বেশি।
হারারেতে দ্বিতীয় টেস্টের স্কোরকার্ড অবশ্য অন্য কিছু সাক্ষ্য দিচ্ছে। কাল প্রথম দিনের খেলা শেষে ৪ উইকেটে ২৬৮ রান নিয়ে শক্ত অবস্থানে পাকিস্তান। ১২৬ রান করে আউট হন আজহার। ১১৮ রানে এখনো অপরাজিত ওপেনার আবিদ আলী।
৮ম ওভারে ১২ রানে ইমরান বাটকে হারানোর পর দ্বিতীয় উইকেটে ২৩৬ রানের জুটি গড়েন আজহার-আবিদ। দিনের শেষ আধঘণ্টার খেলার মধ্যে গালিতে ব্লেসিং মুজারাবানির বলে ক্যাচ দেন আজহার। দ্বিতীয় নতুন বলে ৩টি উইকেট নিয়ে জিম্বাবুয়েকে লড়াইয়ে রেখেছেন এ পেসার।
দিনের খেলা শেষে অবশ্য আজহার জানালেন, তাঁর দল দাপট দেখালেও আরও ভালো করার চাপটা আছে। কারণ? ওই তো, প্রতিপক্ষ যে জিম্বাবুয়ে!
আজহারের ব্যাখ্যা, ‘আমি তো একটি সংস্করণ খেলি। তাই নিজেকে উদ্দীপ্ত রাখতে সমস্যা হয় না। তবে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খেললে একটু চাপ থাকবেই। কারণ ভালো করলে কেউ তার স্বীকৃতি দেবে না, কারণ প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে—যেন এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু খারাপ করলে লোকে বলবে দেখেছ, সে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেও রান করতে পারে না!’
হারারে স্পোর্টস ক্লাবের উইকেট মোটেও কঠিন ছিল না ব্যাটিংয়ের জন্য। আজহার ম্যাচ শেষে সে কথাই বলেছেন। কিন্তু পাকিস্তানের প্রথম ইনিংসে এমন উইকেটেও রান পাননি তারকা ব্যাটসম্যান বাবর আজম। ৮ বলে ২ রান করে আউট হন পাকিস্তান অধিনায়ক। প্রথম টেস্টে ‘গোল্ডেন ডাক’ মেরেছিলেন বাবর।