দুই দিনের শেষ দিকে দুই দারুণ জুটি।
আগের দিনের শেষে এক জুটি গড়লেন ইংল্যান্ডের জনি বেয়ারস্টো। শতক হাঁকিয়ে অপরাজিত ছিলেন, সে পথে তিনটি জুটি গড়েছেন। বেয়ারস্টোর সৌজন্যেই কাল দিনের শেষ দিকে কিছুটা স্বস্তি পেয়েছিল ইংল্যান্ড।
অ্যান্টিগায় উত্থান-পতনে ভরা, বৃষ্টিতে প্রায় দশ ওভার আগেই শেষ হওয়া দ্বিতীয় দিনের শেষটাও আজ রাঙিয়ে রেখেছে আরেকটা জুটি। তৃতীয় দফার বৃষ্টিতে খেলা শেষ হওয়ার আগে ৭৫ রানের জুটি গড়েছেন জেসন হোল্ডার ও এনক্রুমা বোনার, তাতে ৪ উইকেটে ২০২ রান নিয়ে দিন শেষ করতে পেরেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এখনো ইংল্যান্ডের চেয়ে ১০৯ রান পিছিয়ে তারা।
৬ উইকেটে ২৬৮ রান নিয়ে আজ দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করে ইংল্যান্ড। বেশিক্ষণ আর টিকতে পারেনি। জেইডেন সিলস আর আলজারি জোসেফের তোপে দিনে ১৫ ওভারের মধ্যে গুটিয়ে যায় ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংস। আগের দিনের সঙ্গে আর যোগ করতে পেরেছে মাত্র ৪৩ রান। এর ৩১-ই বেয়ারস্টোর।
দিনের সপ্তম ওভারে দলকে ২৮৫ রানে রেখে ফিরলেন ওকস, আগের দিনের ২৪ রানের সঙ্গে যোগ করতে পেরেছেন মাত্র ৪ রান। এরপর তো আসা-যাওয়ার মিছিল। এক প্রান্তে বেয়ারস্টোকে রেখে ওভারটন (০) আর মার্ক উড (১) ফিরে গেলেন।
বেয়ারস্টোও আর বেশিক্ষণ টানতে পারলেন না। ১০৯ রানে অপরাজিত থেকে দিন শুরু করেছিলেন, ১৪০ রান করে দলের শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে যখন আউট হচ্ছেন, ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে রান ৩১১।
ইংল্যান্ডের ইনিংস দ্রুতই শেষ করে দেওয়ার আনন্দটা মধ্যাহ্নবিরতিতে আরও বেড়ে গেল ওয়েস্ট ইন্ডিজের, যখন মধ্যাহ্নবিরতির সময় স্কোরবোর্ডে ১০ ওভারেই ৪৪ রান হয়ে গেলেও উইকেটের ঘরে সংখ্যাটা শূন্যই থাকল। বিরতির পর প্রথম ওভারে ৬ রান নিয়ে ক্রেইগ ব্রাফেট ও জন ক্যাম্পবেলের সেই উদ্বোধনী জুটিতে অর্ধশতকও হয়ে গেল।
কিন্তু ইনিংসের ২০তম ওভারে ক্যাম্পবেল (৩৫ রান) আউট হতেই যেন ধাক্কা লাগে উইন্ডিজ ইনিংসে। দলের রান শতক পার হতেই ২৬তম ওভারে আউট ব্রাফেটও। যাওয়ার আগে অবশ্য নিজের অর্ধশতক ঠিকই পেয়েছেন, আউট হয়েছেন ৫৫ রান করে।
দলের ১০১ রানে ব্রাফেট ফেরার পর ব্রুকস আর ব্ল্যাকউডও ফিরলেন দ্রুতই। ১২৭ রানেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৪ উইকেট নেই! সেখান থেকেই হোল্ডার-বোনারের ঘুরে দাঁড়ানো। দিন শেষে হোল্ডার অপরাজিত ৪৩ রানে, বোনারের রান ৩৪।