দুই ছক্কায় লঙ্কা-জয় বাংলাদেশের উদীয়মানদের
>শ্রীলঙ্কান ইমার্জিং দলকে ২ উইকেটে হারিয়েছে সিরিজে ফিরেছে বাংলাদেশ ইমার্জিং দল। শেষ ২ ওভারে দরকার ছিল ২০ রান। ২ ছক্কা মেরে সমীকরণ সহজ করে দেন ইয়াসিন।
বিকেএসপিতে প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কা ইমার্জিং দলের কাছে বাজেভাবে হারের পর বেশ চাপেই পড়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ ইমার্জিং (এইচপি) দল। একই মাঠে আজ দ্বিতীয় ম্যাচে শ্রীলঙ্কানদের ২ উইকেটে হারিয়ে সিরিজে ফিরেছে বাংলাদেশ ইমার্জিং দল। নাজমুল-ইয়াসিররা দেখিয়ে দিলেন তাঁদের সামর্থ্য আছে দুর্দান্ত কিছু করার।
প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কান ফাস্ট বোলারদের সামনে বাংলাদেশের উদীয়মান ব্যাটসম্যানরা যেভাবে আত্মসমর্পণ করেছেন, সেটি নিয়ে বেশ কথা হয়েছে গত দুদিনে। মাঝে মাশরাফি বিন মুর্তজা-মুশফিকুর রহিমকে পর্যন্ত কথা বলতে হয়েছে বাংলাদেশের উদীয়মান ক্রিকেটারদের সঙ্গে। প্রথম ম্যাচে বাজে হারটাই বোধ হয় তাতিয়ে দিয়েছিল নাজমুল-ইয়াসিরদের। আজ শ্রীলঙ্কার দেওয়া ২৭৪ রানের লক্ষ্যটা তাই অনতিক্রম্য মনে হয়নি তাঁদের। যদিও ১২ রানেই ভেঙেছিল হাইপারফরম্যান্স (এইচপি) দলের ওপেনিং জুটি। ৬৪ রানে পড়েছে দ্বিতীয় উইকেট।
ম্যাচের রং বদলে দেওয়া জুটিটা হয়েছে ঠিক এরপরই। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত আর সহঅধিনায়ক ইয়াসির আলীর তৃতীয় উইকেটে। এ জুটিতে ১২৮ বলে আসে ১২০ রান। শিরান ফার্নান্দোর বলে আউট হওয়ার আগে শান্ত করে যান ৭৭ রান। ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার শিকার হওয়ার আগে ইয়াসিরের রান ৮৫। দুজন দলকে ভালো অবস্থানে পৌঁছে দিলেও শেষ দিকে সমীকরণটা মোটেও সহজ ছিল না।
শেষ ২ ওভারে দরকার ছিল ২০ রান। ৩ বলে ১২ রান করে কঠিন এ সমীকরণ সহজ করে দিয়েছেন দশে নামা পেসার ইয়াসিন আরাফাত। তাঁর ১২ রান এসেছে দুটি ছক্কায়। ৩ বল বাকি থাকতেই জয়ের প্রান্ত পৌঁছে যান বাংলাদেশের উদীয়মানরা। সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছেন অবশ্য ইয়াসির।
এ জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে সমতায় ফিরেছে বাংলাদেশ ইমার্জিং দল। সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচ ২৪ আগস্ট, খুলনায়।