দলের অধিনায়ক কোহলি, কোহলির অধিনায়ক ধোনি!
ভারতের নেতৃত্বভার আনুষ্ঠানিকভাবে বিরাট কোহলির ওপর থাকলেও মাঠের আসল নেতা ধোনিই। এমনটাই মানছেন দলের সাবেক তারকা সুরেশ রায়না
অধিনায়ক হিসেবে মহেন্দ্র সিং ধোনির মতো বিরাট কোহলি অতটা কার্যকর নন, এ নিয়ে আলোচনা আজকের নয়। অনেকের মতেই অধিনায়ক হিসেবে কোহলি ভালো করছেন, কেননা তাঁর দলে ধোনি আছেন। আইপিএলে দুজন আলাদা ফ্র্যাঞ্চাইজির নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। যেখানে ধোনি চেন্নাইকে ফাইনালে তুলেছেন, আট দলের মধ্যে কোহলির বেঙ্গালুরু হয়েছে অষ্টম। ফলে, ধোনিকে ছাড়া যে কোহলি কিছুই নন, এই আলোচনা আরও জোরেশোরে শুরু হয়েছে। এবার এই আলোচনায় যোগ দিয়েছেন সুরেশ রায়না।
ধোনির সঙ্গে ১২ বছর ধরে একই ফ্র্যাঞ্চাইজিতে খেলছেন রায়না। চেন্নাইয়ের সকল সাফল্য এসেছে ধোনি-রায়না জুটির হাত ধরেই। ভারতীয় দলেও বছরের পর বছর ধরে ধোনির সতীর্থ ছিলেন রায়না। ভারতের হয়ে ২০১১ ও ২০১৫ বিশ্বকাপে খেলেছেন ধোনির অধিনায়কত্বেই। ধোনির নেতৃত্বেই ২৮ বছর পর ক্রিকেট বিশ্বকাপ শিরোপার স্বাদ পেয়েছিল ভারত। রায়না খুব ভালো করেই জানেন, অধিনায়ক ধোনি কতটা প্রখর। তাই নিঃসন্দেহ হয়ে মত দিয়েছেন, কাগজে-কলমে ধোনি অধিনায়ক না হলেও আসল অধিনায়ক তিনিই, ‘কাগজে-কলমে ধোনি ভারতের অধিনায়ক নয়। কিন্তু তাতে কী হয়েছে? ধোনির ভূমিকা তাতে বিন্দুমাত্রও কমেনি। স্ট্যাম্পের পেছনে থেকে বোলারদের সঙ্গে সে নিজেই যোগাযোগ রাখে। কোন দিকে বল ফেলতে হবে না হবে পরামর্শ দেয়। সে অনুযায়ী মাঠে ফিল্ডারদের সাজায়। খেলার মাঠে সে বিরাটেরও অধিনায়ক। ধোনি অধিনায়কদেরও অধিনায়ক। ধোনি মাঠে থাকলে বিরাট অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী ও নিশ্চিন্ত হয়ে যায়। বিরাট নিজেও এটা সব সময় স্বীকার করেছে।’
কিছুদিন আগে একই কথা বলেছিলেন অনিল কুম্বলে। এই তো কিছুদিন আগেও ভারতীয় দলের কোচ ছিলেন তিনি। খেলোয়াড়দের দেখেছেন খুব কাছে থেকেই। সে অভিজ্ঞতা থেকেই ধোনি-কোহলি রসায়নটা জানিয়েছেন, ‘ধোনি পাশে থাকলেই যে কোহলি অনেক বড় অধিনায়ক হয়ে যায়, সেটি বলব না। তবে এটা ঠিক যে ধোনি স্টাম্পের পেছনে থাকলে কোহলি অনেক স্বস্তি পায়। দুজন নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে অনেক সময়ই। দুজনের এই আলোচনা অনেক সময় কোহলিকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে।’
২০১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপে কোহলি-ধোনি জুটি ভারতকে কত দূর নিয়ে যেতে পারবে এখন সেটাই দেখার বিষয়।