তাসকিন খেলবেন, নাকি শফিউল?
>একজন সর্বশেষ ওয়ানডে খেলেছেন ২০১৭ সালের অক্টোবরে। অন্যজনের সে স্মৃতিতে আরও এক বছরের ধুলো! তাসকিন নাকি শফিউল, কে আজ নামবেন প্রেমাদাসায়?
আজ প্রেমাদাসায় যখন টস করতে নামবেন তামিম, তখন আগ্রহ থাকবে দুটি বিষয় নিয়ে। প্রথমত, কাল সন্ধ্যায় সৃষ্ট হওয়া শঙ্কা উড়িয়ে সৌম্য থাকছেন কি না। আর দ্বিতীয়ত, দলের তৃতীয় পেসার হিসেবে নামছেন কে—তাসকিন নাকি শফিউল?
কাল কনুইয়ে হালকা ব্যথা পেয়েছিলেন সৌম্য সরকার। দলের বর্তমান পরিস্থিতিতে তাঁর এভাবে আঘাত পাওয়া শঙ্কা জাগাতে বাধ্য। কিন্তু অনুশীলনে টানা ব্যাট করে কাল অন্তত এ নিয়ে দুশ্চিন্তা কমিয়ে দিয়েছেন সৌম্য। তবে মধ্যের মূল নেটে যতক্ষণ ব্যাট করেছেন, খুব একটা স্বস্তি নিয়ে খেলেছেন, সেটাও বলা যাবে না। বোলারদের বাউন্সার ও শর্ট বলে বেশ ভুগেছেন।
সৌম্যকে নেটে ওভাবে ভোগানোদের একজন তাসকিন আহমেদ। কাল নেটে বেশ ভালোই করছিলেন। বেশ গতির সঙ্গে বাউন্সার দিতে দেখা গেছে। গুড লেংথের বলেও সৌম্যকে অস্বস্তিতে ফেলছিলেন। তাঁর সঙ্গে বল হাতে নিয়ে দু-একটি বাউন্সার দিতে দেখা গেছে মোস্তাফিজকেও। এ দুজনকে একসঙ্গে মূল নেটে বল করতে দেখে মনে হতেই পারে, আজ এ দুজনের কাছেই নতুন বল তুলে দেওয়া হতে পারে। কিন্তু হিসাবটা অত সহজ নয়।
প্রস্তুতি ম্যাচে তিন পেসার ও পেস বোলিং অলরাউন্ডার ফরহাদ রেজার বোলিং দেখেই হোক কিংবা দলের শেষ কোটা পূরণ করার জন্যই হোক, তড়িঘড়ি করে শফিউল ইসলামকে ডেকে আনা হয়েছে। ওদিকে নেটে যখন তাসকিন বল করছেন, তখন রায়ান কুকের অধীনে শফিউল জুটি বেঁধে ফিল্ডিং করেছেন রুবেলের সঙ্গে। বিশ্বকাপে অধিকাংশ ম্যাচে সুযোগ না পেলেও মাশরাফি ও সাইফউদ্দিনের অনুপস্থিতিতে রুবেলের আজ মাঠে থাকা নিশ্চিত। মোস্তাফিজ ও রুবেলের সঙ্গে তাহলে আজ কে থাকবেন মাঠে? নেটে নিজেকে প্রমাণ করতে ব্যস্ত থাকা তাসকিন, নাকি ফিল্ডিং শাণিয়ে নিতে থাকা শফিউল? দলের সূত্র জানাচ্ছে, উত্তরটা শফিউল হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। সে ক্ষেত্রে ২০১৬ সালের পর আবার ওয়ানডে খেলতে নামবেন শফিউল।
অবশ্য সৌম্যের ওপরও অনেক কিছু নির্ভর করছে। ইদানীং দলের বোলিংয়ে বেশ আস্থার জায়গা হয়ে উঠেছেন সৌম্য। তাঁকে আজ পাওয়া না গেলে পেস বোলিং ‘অপশন’ নিয়ে ভাবতে হবেই দলকে। কারণ, সাকিবের অনুপস্থিতিতে এমনিতেই দলের স্পিন বিভাগ আহত হয়ে আছে। কাল অনুশীলনে তাইজুল ও মিরাজকে যেভাবে স্লগ করছিলেন মাহমুদউল্লাহ, সেটাও দলের আত্মবিশ্বাস খুব একটা বাড়াবে না। লঙ্কানদের মধ্যের ওভারগুলোর জন্য তাই গত কয়েক দিনের ‘উইকেট টেকার সৌম্য’কে দরকার হবে দলের।
বাংলাদেশের জন্য সুখবর হলো, প্রায় পুরোটা সময় অস্বস্তিতে কাটানো সৌম্য একদম শেষ বলে আশা বাড়িয়ে দিয়েছেন। শর্ট বলে দুর্দান্ত এক পেরিস্কোপ দিয়ে অনুশীলন শেষ করে এসেছেন আত্মবিশ্বাসী ঢঙে। সে আত্মবিশ্বাস কিন্তু তাসকিনের মধ্যে দেখা যায়নি!