তামিম-সৌম্যর আউটে দোষ দেখছেন না সাকিব
>অধিনায়ক হিসেবে আগলেই রাখলেন তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকারকে। দোষ নিলেন নিজের কাঁধেই। আক্ষেপ করলেন, তিনি নিজে কেন বড় ইনিংস খেললেন না। ভালো শুরুর পরেও ব্যাটসম্যানদের অল্পতে ফিরে যাওয়া নিয়েও হতাশ সাকিব আল হাসান
ম্যাচ শেষে দেখা গেল, ডাগআউটে বসে ব্যাটিং কোচের সঙ্গে কথা বলছেন তামিম ইকবাল। আজ তাঁর মুখে হাসি নেই, যেটি দেখা গেছে পুরো ওয়ানডে সিরিজে। টি-টোয়েন্টি সিরিজেও তামিমের ভালো শুরুর সুযোগ ছিল। পারেননি। ব্যর্থও হয়েছেন, বেশ দৃষ্টিকটুভাবেই।
ইনিংসের প্রথম বলেই উইকেট থেকে বেরিয়ে নার্সকে কাভারের ওপর দিয়ে মারতে গিয়েছিলেন তামিম। ফল? শূন্য রানে স্টাম্পড! এভাবে কেউ আউট হয়? যেন ‘মরিবার হলো স্বাদ’। দুই বল পরেই শূন্য রানে বোল্ড সৌম্যও। সৌম্য অবশ্য রক্ষণাত্মক খেলতে গিয়েছিলেন, ব্যাট-প্যাডের মাঝ দিয়ে বল গিয়ে লাগল স্টাম্পে! ৫ রানে নেই ২ উইকেট, প্রথম ওভারেই এলোমেলো বাংলাদেশের ব্যাটিং।
অধিনায়ক আগলে রাখবেন সতীর্থদের, সেটি মেনেই তামিমের ছটফটানিকে অস্বাভাবিক মনে করছেন না সাকিব, ‘ওদের চিন্তাভাবনা নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। টি-টোয়েন্টিতে সবাই ইতিবাচক থাকবে এবং রান করার চেষ্টাই করবে ইনিংসের শুরু থেকে। সবাই সে চেষ্টাই করেছে। এভাবে উইকেট না হারিয়ে কীভাবে রান করব, সেটিই হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ। ১১ ওভারে আমাদের যে ১০০ ছিল, সেটা যদি ৫ উইকেটে না হয়ে ২ উইকেটে হতো তাহলে এমন একটা প্ল্যাটফর্ম তৈরি হতো যেখানে ১৯০/২০০ করার মতো একটা অবস্থায় আমরা যেতে পারতাম।’
১২ ওভারে যাদের রান ছিল ৫ উইকেটে ১০০, তারাই পরের ৪৮ বলে তুলতে পেরেছে ৪৩ রান। শেষ পর্যন্ত কেন বড় স্কোর হয়নি, সব দায়িত্ব নিজের কাঁধেই নিয়ে নিলেন বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক, ‘প্রথম ওভারে ২ উইকেট পড়ে গিয়েছিল। আমি আর লিটন ব্যাটিং করছিলাম। ২-৪ ওভার খেললে উইকেট সম্পর্কে ভালো ধারণা পাওয়া যায়। সবাই ভালো শুরু পেয়েছি কিন্তু বড় স্কোর পাইনি। এটাই সবচেয়ে হতাশার দিক। অন্য দলে দেখা যায় শীর্ষ তিন বা চারে একটা বড় ইনিংস খেলে, যেটা আমাদের খুব দরকার পরের দুই ম্যাচে।’
পরের দুই ম্যাচ বলতে যুক্তরাষ্ট্রে। ফ্লোরিডায় টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ দুটি ম্যাচ। বাংলাদেশ পারবে ঘুরে দাঁড়াতে? রাতে ওয়ার্নার পার্ক ছাড়ার আগে সাকিব আশার কথা শুনিয়ে গেলেন, ‘সেখানে আমাদের অনেক দর্শক থাকবে। দর্শকদের কাছ থেকে অনুপ্রাণিত হওয়া উচিত। যদিও একটা সফরের শেষ পর্যায়ে নিজেদের উদ্বুদ্ধ করা কঠিন হয়ে যায়। পেশাদার খেলোয়াড় হিসেবে এটা অবশ্য ঠিক না। এখনো আমাদের সিরিজ জেতা সম্ভব। যেহেতু বাকি আছে দুটি ম্যাচ। যদি পারি, সেটা হবে বিরাট অর্জন।’