তামিম-মুশফিকদের এই শক্তি রোডসকে মুগ্ধ করে
>ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় অল্পের জন্য বেঁচে গিয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। সে ঘটনার ‘ট্রমা’ ক্রিকেটারদের দীর্ঘদিন আচ্ছন্ন করে রাখে কি না, সেটি নিয়ে শঙ্কিত ছিলেন কোচ স্টিভ রোডস। কিন্তু তিনি অবাক হয়ে দেখেছেন, খেলোয়াড়েরা কীভাবে সেটি কাটিয়ে উঠেছেন। বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মানসিক শক্তিতে মুগ্ধ রোডস।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আরেকটি ম্যাচের আগে চলে এল ক্রাইস্টচার্চ প্রসঙ্গ। গত মার্চে মসজিদে সন্ত্রাসী হামলা থেকে অল্পের জন্য বেঁচে যাওয়া তামিম-মুশফিকদের সেই ‘ট্রমা’ থেকে বের হওয়া কঠিনই ছিল। ২০১৯ বিশ্বকাপের কমাস আগে এত বড় ঘটনায় স্টিভ রোডস বেশ চিন্তাই পড়ে গিয়েছিলেন।
রোডসের এ চিন্তা দূর হতে সময় লাগেনি। খেলোয়াড়েরা দ্রুতই স্বাভাবিক হয়েছেন, অল্প কদিনেই ফিরেছেন ক্রিকেটে। মুশফিক-তামিমদের এই মানসিক শক্তি মুগ্ধ করেছে বাংলাদেশ কোচকে। আজ ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে বললেন, ‘ঘটনাটার পর নিজেদের তারা যেভাবে সামলেছে, খেলোয়াড়দের প্রতি ভীষণ শ্রদ্ধা তৈরি হয়েছে। রোজা শেষে আজ মাত্রই ঈদ উদ্যাপন করল ওরা। যে ঘটনার মধ্য দিয়ে তারা গিয়েছে, আমার মনে হয়েছে যেভাবে হোক তারা এটা কাটিয়ে উঠবে। তারা একে অপরের সহায়তা করার চেষ্টা করেছে। এটা থেকে তারা যেভাবে বেরিয়ে এসেছে, ওদের প্রতি শ্রদ্ধা। এই মুহূর্তে দলটা কী দারুণ হাসিখুশি। যখন ক্রাইস্টচার্চে এ ঘটনা ঘটল, ভাবছিলাম দলকে আবার ফিরে পাব কীভাবে? তারা অবশেষে পেরেছে। আমাকে তেমন কিছুই করতে হয়নি।’
ক্রাইস্টচার্চের ঘটনা অতীত। সেটি নিয়ে এখন ভেবে আর লাভ নেই। এখন ভাবনায় নিউজিল্যান্ড। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জেতার পরদিন দল ছিল পূর্ণ বিশ্রামে। আজ মেঘ–বৃষ্টিতে ভালোভাবে অনুশীলন করা যাচ্ছে না। ব্যাটে-বলে ঝালিয়ে না নেওয়া গেলে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মানসিকভাবে তৈরি হওয়াটাই গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন রোডস, ‘গতকাল আমাদের একটু বিশ্রাম দরকার ছিল। ইংল্যান্ডে আবহাওয়া নিয়ে আপনি কিছু বলতে পারবেন না। আয়ারল্যান্ডে আমরা খেলে কিছুটা অভ্যস্ত হতে পেরেছি। বুঝতে পেরেছি উত্তর গোলার্ধের কন্ডিশন কেমন হয়। আমাদের অনেক খেলোয়াড় বেশ ভালো ফর্মে আছে। মনস্তাত্ত্বিকভাবে এটা খুব ভালো অবস্থানে থাকতে সহায়তা করে। যদি তারা মনস্তাত্ত্বিকভাবে ভালো অবস্থানে থাকে তবে কালকের ম্যাচের জন্য তৈরিই বলতে হবে।’