তামিম-নাফিসের এ সম্পর্কটা ‘পেশাদার’
তামিম ইকবালের অনেক আগেই জাতীয় দলে খেলেছেন তাঁর বড় ভাই নাফিস ইকবাল। ২০০৫ সালে বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট সিরিজ জয়ে নাফিসের ধৈর্যশীল এক শতকের বড় ভূমিকা। ২০০৩ সালে ইংলিশ স্পিনার অ্যাশলি জাইলসকে ‘অর্ডিনারি বোলার’ বলে ঝড় তুলেছিলেন। কিন্তু চোট তাঁর সম্ভাবনার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারকে লম্বা করতে দেয়নি।
২০০৬ সালে নাফিস তাঁর ক্যারিয়ারের শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচটি খেলেছিলেন। ছোট ভাই তামিম ইকবালের আন্তর্জাতিক অভিষেক পরের বছর। ফলে ক্রিকেটপ্রেমীদের দেখা হয়নি তামিমের সঙ্গে জাতীয় দলে নাফিসের যুগলবন্দী।
তামিমের জাতীয় দলে ঢোকা নাফিস বেরিয়ে যাওয়ার পরপরই। যে সম্ভাবনা নাফিস একসময় দেখিয়েছিলেন, তামিম সেটি বাস্তবায়ন করেই দেখিয়েছেন। ক্যারিয়ার বড় তো করেছেনই, নিজেকে বানিয়েছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটের অন্যতম বড় তারকা। ব্যাট হাতে তাঁর কীর্তি এ দেশের ক্রিকেটেই তাঁকে আলাদা একটা জায়গা করে দিয়েছে।
বাংলাদেশ দলে নাফিস-তামিমের জুটি দেখার যে স্বপ্ন একটা সময় ক্রিকেটপ্রেমীরা দেখেছিলেন, সেই স্বপ্নই এবার কিছুটা হলেও পূরণ হতে চলেছে। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলে একসঙ্গে জুটি বেঁধেছেন নাফিস ও তামিম। তবে অধিনায়ক তামিমের সঙ্গে এ জুটি নাফিসের জাতীয় দলের লজিস্টিক ম্যানেজার হিসেবে।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজেই বাংলাদেশ দলে একসঙ্গে দেখা যাবে দুই ভাই নাফিস-তামিমকে। আজ চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনেও একসঙ্গে এসেছিলেন দুজন। এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলনেও কথা বললেন তামিম।
তবে ভাই নাফিসকে নিয়ে প্রশ্ন করা হলে উত্তরে তামিম যা বললেন, তাতে আবেগ পাওয়া গেল না, ‘এই জায়গায় আমাদের অনেক পেশাদার হতে হবে। তিনি আমার ভাই, এটা আমাদের সম্পর্ক। তবে জাতীয় দলের হয়ে খেলার সময় আমি তাঁকে ম্যানেজার হিসেবে আর তিনি আমাকে খেলোয়াড় হিসেবে সম্মান করবেন। এটাই পেশাদারির জায়গা। এখানে পেশাদারিই আগে আসবে, পরে সম্পর্ক।’
জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক ছিলেন নাফিস-তামিমের চাচা আকরাম খান। তাঁর অধিনায়কত্বেই ১৯৯৭ সালে আইসিসি ট্রফি জিতেছিল বাংলাদেশ। তবে দুই ভাইয়ের একসঙ্গে জাতীয় দলে খেলার ব্যাপারটি অনেক পুরোনোই। ১৯৮৬-তে ইতিহাসের প্রথম ওয়ানডেতেই বাংলাদেশ দলের একাদশে ছিলেন দুই ভাই। সেবার শ্রীলঙ্কার মোরাতুয়াতে এশিয়া কাপ ক্রিকেটে পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলেছিলেন জাতীয় দলের এখনকার প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন ও তাঁর বড় ভাই নূরুল আবেদীন।