তাজমহলে দাঁড়িয়ে প্রেম নিবেদন, ডি ভিলিয়ার্সের আক্ষেপ যা নিয়ে

বিয়ের প্রস্তাব দেওয়ার সেই দিনটিছবি: সংগৃহীত

ভারতের সঙ্গে এবি ডি ভিলিয়ার্সের সম্পর্ক অনেক পুরোনো, আইপিএল দিয়েই। সেই ২০০৮ সাল থেকে খেলছেন। বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি লিগের সঙ্গে তাঁর আত্মার সম্পর্ক। তবে ভারতের সঙ্গে আইপিএল ছাড়াও তাঁর আরও অনেক কিছুতেই সম্পর্ক। তাঁর ব্যক্তিগত জীবনের একটা বড় ঘটনার সাক্ষী ভারতের মাটি।

২০১২ সালে আইপিএল খেলতে এসে সেই বড় ঘটনার জন্ম দিয়েছিলেন তিনি। প্রেমিকা ড্যানিয়েলে স্টুয়ার্টও সে সময় তাঁর সঙ্গে ভারতে ছিলেন। সে সময়ই ড্যানিয়েলেকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন তিনি। আর সেটি দিয়েছিলেন যুগযুগান্তরে দুনিয়ার প্রেমের সৌধ আগ্রার তাজমহলে দাঁড়িয়ে। কিন্তু সেই প্রেম নিবেদন নিয়ে তাঁর একটা বড় ধরনের আক্ষেপ রয়েই গেছে। সেই আক্ষেপ হয়তো মিটবে না কোনো দিন।

আমি আজও ভাবি, কী অদ্ভুত পোশাক-আশাক ছিল সেদিন আমার। প্রেম নিবেদনের জন্য আদর্শ অবশ্যই নয়। এত চমৎকার একটা ঘটনায় আমার আক্ষেপ পোশাক নিয়ে।
এবি ডি ভিলিয়ার্স, তাজমহলে বান্ধবীকে বিয়ের প্রস্তাব যে পোশাকে দিয়েছিলেন, তা নিয়ে আক্ষেপ করে

ব্যাপারটি কি পূর্বপরিকল্পিত ছিল, নাকি বেড়াতে গিয়ে হঠাৎ ঘটে যাওয়া কোনো কিছু? দক্ষিণ আফ্রিকান তারকা জানিয়েছেন, ব্যাপারটা আগে থেকেই ভেবে রেখেছিলেন, ‘আগের দিন আমাদের একটা খেলা ছিল। রাত দু-তিনটা পর্যন্ত আমরা খুব হইহুল্লোড় করেছিলাম। পরদিন সকালে তাজমহল দেখতে যাই। আমি বেশ ক্লান্ত ছিলাম। তবে পরিকল্পনাটা আগেই করে রেখেছিলাম।’

আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর এক পডকাস্টে ডি ভিলিয়ার্স তাজমহলে সেই প্রেম নিবেদন নিয়ে তাঁর আক্ষেপটি জানিয়েছেন, ‘আমি আজও ভাবি, কী অদ্ভুত পোশাক-আশাক ছিল সেদিন আমার। প্রেম নিবেদনের জন্য আদর্শ অবশ্যই নয়। এত চমৎকার একটা ঘটনায় আমার আক্ষেপ পোশাক নিয়ে। যে জিনসের প্যান্টটা পরেছিলাম, সেটা কী ছিল! পাতলা, রংচটা জিনস। আমার কাছে এখনো সেই শার্ট আছে। আমার স্ত্রী সেটি রেখে দিয়েছে। জিনসটাও আছে। সেটি আমি এখনো “পায়জামা”র মতো করে ব্যবহার করি।’

২০১৩ সালে বিয়ে করেন ডি ভিলিয়ার্স–ড্যানিয়েলে
ফাইল ছবি

ডি ভিলিয়ার্স সেদিন আরও একটি আতঙ্কজনক মুহূর্তের মুখোমুখি হয়েছিলেন। বিয়ের প্রস্তাব দেওয়ার পর তাঁর ড্যানিয়েলে কোনো কথাই বলছিলেন না। এ মুহূর্ত আসতে পারে, সে শঙ্কা অবশ্য ডি ভিলিয়ার্সের আগে থেকেই ছিল। অনেক নাটকীয়ভাবে বিয়ের প্রস্তাবটি দেওয়ার পর ড্যানিয়েলে বেশ খানিকক্ষণ চুপ করে ছিলেন। প্রোটিয়া তারকা খুব ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন, শেষ পর্যন্ত আশঙ্কাটাই সত্যি হলো! তবে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই ড্যানিয়েলে তাঁর দিকে তাকিয়ে হেসে জানিয়ে দেন, বাকিটা জীবন ডি ভিলিয়ার্সের সঙ্গে থাকার ব্যাপারে তিনি প্রস্তুত। হাঁপ ছেড়ে বাঁচেন ক্রিকেট মাঠে বোলারদের আতঙ্ক এবি ডি ভিলিয়ার্স।

পরের বছরই বিয়ে করেন ডি ভিলিয়ার্স আর ড্যানিয়েলে। তাঁদের ঘর আলো করে এসেছে তিনটি সন্তান। এক মেয়ে আর দুই ছেলেকে নিয়ে ডি ভিলিয়ার্সদের সুখের সংসার।