পিঠের সমস্যার কারণে গতকাল টেস্টের তৃতীয় দিনে উইকেটকিপিং করেননি, জনি বেয়ারস্টো ইংল্যান্ডের উইকেটকিপারের দায়িত্ব সামলেছেন। এরপর সন্ধ্যায় করোনা টেস্টে পজিটিভও হলেন বেন ফোকস। হেডিংলিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টের চতুর্থ দিনে আজ তাই আর ফোকসকে স্বাভাবিকভাবেই মাঠে পায়নি ইংল্যান্ড। আইসিসির করোনা-বদলি হিসেবে এরই মধ্যে স্যাম বিলিংসকে একাদশে নিয়ে নিয়েছে ইংল্যান্ড।
বিলিংস কেন্টের হয়ে ভাইটালিটি ব্লাস্টে খেলছিলেন, সেখান থেকে সরাসরিই ইংল্যান্ডের একাদশে ঢুকে গেছেন। আজ দিনের শুরু থেকে উইকেটকিপিংও করছেন।
তবে ফোকস ছাড়া দলে আর কারও করোনা নেই বলেও বিবৃতিতে জানিয়ে দিয়েছে ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড, ‘ইংল্যান্ডের দলের অন্য সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছে। কোনো লক্ষণ দেখা দিলেই সঙ্গে সঙ্গে জানাচ্ছে, দরকার পড়লে পরীক্ষাও করাচ্ছে।’ ফোকসের আগে গত মঙ্গলবার দলের ব্যাটিং কোচ মার্কাস ট্রেসকোথিকের করোনা ধরা পড়ে, এই টেস্টে তাই তিনি দলের সঙ্গে নেই।
ফোকসের এভাবে করোনা ধরা পড়ায় ভারতের বিপক্ষে আগামী শুক্রবার থেকে শুরু হতে যাওয়া টেস্টে তাঁর খেলা নিয়েও সংশয় দেখা দিয়েছে। ইংল্যান্ড অবশ্য আশায়, শুক্রবারের মধ্যেই ফিট হয়ে উঠবেন।
ভারতের দলেও অবশ্য করোনা হানা দিয়েছে। টেস্ট অধিনায়ক রোহিত শর্মার করোনা ধরা পড়েছে। এই মুহূর্তে তিনি দলের থেকে বাইরে ‘আইসোলেশনে’ আছেন। ভারত ও ইংল্যান্ডের টেস্টটা গত বছরে অসমাপ্ত সিরিজের বাকি থাকা টেস্ট, সিরিজে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে ভারত।
ফোকসের হঠাৎ করোনা ধরা পড়ায় বিলিংসের ঝক্কি হয়ে গেল আর কী! গত মঙ্গলবার কেন্টের হয়ে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপে সারের বিপক্ষে কিয়া ওভালে খেলার কথা ছিল তাঁর, কিন্তু ফোকসের বদলি হিসেবে ইংল্যান্ড দলে ডাক পাওয়ায় শেষ মুহূর্তে কেন্টের হয়ে আর নামেননি। রাতের বেলায়ই লিডসের দিকে রওনা দেন, পৌঁছেছেন গভীর রাতে।
অবশ্য ইংল্যান্ডের টেস্ট দলে মাত্র দ্বিতীয়বার ডাক পাওয়া বিলিংসের জন্য অভিজ্ঞতাটা একেবারে নতুনও নয়। তাঁর টেস্ট অভিষেকের আগেও যে এমনই ঝক্কি ছিল! সেবার অ্যাশেজে বেয়ারস্টো ও জস বাটলার চোটে পড়ায় বিলিংসের ডাক পড়ে। নয় ঘণ্টার ভ্রমণ শেষে তখন সিডনিতে পৌঁছে মাঠে নামেন বিলিংস।