টেস্ট জিতিয়েই নিষিদ্ধ হচ্ছেন ধনঞ্জয়া?
বাংলাদেশের বিপক্ষেই ক্যারিয়ার পুনর্জীবিত হয়েছিল আকিলা ধনাঞ্জয়ার। বিশ্বকাপের পর ফিরে প্রথম ওভারেই উইকেট পেয়েছেন। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টেও ফিরেছেন ধনঞ্জয়া। এবারও প্রত্যাবর্তনেই সাফল্য, প্রথম ইনিংসেই পেয়েছেন ৫ উইকেট। কিন্তু ম্যাচ জেতানো পারফরম্যান্স নিয়েই প্রশ্ন উঠে গেছে। গল টেস্ট শেষে ম্যাচ রিপোর্টে ধনঞ্জয়ার বোলিং অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আম্পায়াররা।
গত বছরের শেষভাগেই একবার ধনঞ্জয়ার বোলিং অ্যাকশন রিপোর্ট করা হয়েছিল। সেবার বায়োমেকানিক্যাল পরীক্ষায় পাশ করতে না পেরে সাময়িকভাবে নিষিদ্ধও হয়েছিলেন। পরে অ্যাকশন বদলে ও পরীক্ষা দিয়ে আবার ফিরেছিলেন। কিন্তু বোলিং ধার হারিয়ে ফেলায় বিশ্বকাপে যাওয়া হয়নি তাঁর। বাংলাদেশ সিরিজে ভালো করায় টেস্ট দলেও জায়গা পেয়েছেন। রঙ্গনা হেরাথের শূন্যস্থান পূরণের দায়িত্বও ভালোভাবেই পালন করেছেন গলে। এর মাঝেই ঢাকা হয়ে হয়ে এল এই খবর। দশ মাসের মধ্যে দুইবার অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, এখন ১২ দিনের মধ্যেই বায়োমেকানিক্যাল পরীক্ষা দিতে হবে ধনঞ্জয়াকে।
তিন ধরনের বল করেন ধনঞ্জয়া। এর মাঝে তাঁর মূল বল অর্থাৎ অফ স্পিন নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। এবারও যদি পাশ করতে না পারেন তবে সরাসরি ১২ মাসের জন্য নিষিদ্ধ হয়ে যাবেন ধনঞ্জয়া। কারণ, আইসিসির নিয়মেই বলা আছে দুই বছরের মধ্যে দুবার পরীক্ষায় পাশ করতে ব্যর্থ হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ১২ মাসের নিষেধাজ্ঞা জোটে।
গল টেস্টে শুধু ধনঞ্জয়ারই নন, কেন উইলিয়ামসনের বোলিং অ্যাকশন নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। ম্যাচের শেষ দিনে মাত্র ৩ ওভার বল করেই আম্পায়ারদের কাছে ধরা পড়ে গেছেন উইলিয়ামসন। উইলিয়ামসনও এর আগে একবার বায়োমেকানিক্যাল পরীক্ষায় দিয়ে ব্যর্থ হয়েছিলেন, তবে সেটা ২০১৪ সালে বলে এতটা বিপদে পড়তে হবে না নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ককে। উইলিয়ামসন নিষিদ্ধ হলেও সমস্যা নেই, খুব দরকার না পড়লে বল হাতে নেন না কিউই অধিনায়ক। কিন্তু ধনঞ্জয়া নিষিদ্ধ হলে বিপদেই পড়বে শ্রীলঙ্কা। কারণ লঙ্কানদের আগামী ৬টি টেস্টই এশিয়াতে হবে, এবং ধনঞ্জয়ার অফ স্পিন টেস্টে অনেক বড় অস্ত্র তাদের জন্য।
আগামী বৃহস্পতিবার সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে মুখোমুখি হবে শ্রীলঙ্কা ও নিউজিল্যান্ড। সে ম্যাচে অবশ্য ধনঞ্জয়া বা উইলিয়ামসনের বল করায় আপত্তি নেই।