টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ উইকেট এখন সাকিব আল হাসানের

সাকিব এখন টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রহকছবি: এএফপি

পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে ম্যাচের পর থেকেই ক্ষণগণনা চলছিল—শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেই হয়ে যাবে!

হলোও তা–ই। শ্রীলঙ্কার ইনিংসে তখন নবম ওভার। তার আগেই ১ উইকেটে ৭১ রান হয়ে গেছে শ্রীলঙ্কার। চারিথ আশালঙ্কা ও পাথুম নিশাঙ্কার জুটি ভাঙা খুব দরকার ছিল। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ যাঁর দিকে তাকিয়ে থাকে—সেই সাকিব আল হাসান এসে নবম ওভারে ভাঙলেন জুটি, গড়লেন টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড।

শহীদ আফ্রিদির সঙ্গে সমান ৩৯ উইকেট নিয়ে রেকর্ডটিতে যৌথভাবে শীর্ষে ছিলেন সাকিব। আজ নবম ওভারে নিশাঙ্কাকে বোল্ড করে রেকর্ডটি নিজের করে নেন সাকিব—২৯ ম্যাচে ৪০ উইকেট। ওই ওভারেই ঠিক দুই বল পর ব্যবধানটা আরও বাড়িয়ে নেন সাকিব। এবার তাঁর স্ট্রেইট ডেলিভারিতে বোল্ড আভিষ্কা ফার্নান্দো। অর্থাৎ ২৯ ম্যাচে ৪১ উইকেট।

২০১৬ টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত খেলা আফ্রিদি ৩৯ উইকেট নিয়েছিলেন ৩৪ ম্যাচে। ১৩৫ ওভার বল করে এই রেকর্ড গড়েন পাকিস্তানের সাবেক এই অলরাউন্ডার। সাকিব তাঁর চেয়ে ২০৩ বল কম করে রেকর্ডটি নিজের করে নিলেন। বোলিং গড় কিংবা স্ট্রাইকরেটেও আফ্রিদির চেয়ে এগিয়ে সাকিব। ২৩.২৫ বোলিং গড় ও ২০.৭ স্ট্রাইকরেট আফ্রিদির। সাকিবের বোলিং গড় ১৫.৭৫ ও স্ট্রাইকরেট ১৪.৯। এ সংস্করণে সাকিব তিনবার এক ইনিংসে ৪টি করে উইকেট নিলেও আফ্রিদি ম্যাচে ৪ উইকেটের দেখা পেয়েছেন দুবার।

ওভারপ্রতি রান দেওয়ার গড়ে অবশ্য দুজনের তেমন পার্থক্য নেই। আফ্রিদির ইকোনমি রেট ৬.৬৩। আজ এ ম্যাচ চলার সময় সাকিবের এ সংস্করণে ইকোনমি রেট ৬.৬৫।

সর্বোচ্চ উইকেট নেওয়ার এ তালিকায় শীর্ষ পাঁচে বাকি তিনজন—লাসিথ মালিঙ্গা (৩১ ম্যাচে ৩৮), সাঈদ আজমল (২৩ ম্যাচে ৩৬) ও অজন্তা মেন্ডিস (২১ ম্যাচে ৩৫)। এঁদের মধ্যে শুধু মালিঙ্গা ও মেন্ডিসই ইনিংসে ৫ উইকেটের দেখা পেয়েছেন।