জোন্সের মৃত্যুর পর থেকে বিপদে তাঁর সাবেক প্রেমিকা
প্রেম কখনো মধুর, কখনো তা বেদনাবিধুর। কেরি-অ্যান হ্যামিল্টনের সময়টা এখন বেদনার মধ্য দিয়েই যাচ্ছে। একে তো সাবেক প্রেমিক ডিন জোন্সের মৃত্যুর যন্ত্রণা, সঙ্গে যোগ হয়েছে নেটিজেনদের অকথ্য সব খোঁচা। হ্যাঁ, কাল ডিন জোন্সের মৃত্যুর পর থেকে এসবের মধ্য দিয়েই যেতে হচ্ছে এ মডেলকে।
কাল হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ৫৯ বছর বয়সে মারা যান অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটের কিংবদন্তি জোন্স। আইপিএলে বিশ্লেষক ও ধারাভাষ্যকার হিসেবে কাজ করছিলেন তিনি। মুম্বাইয়ের ট্রাইডেন্ট হোটেলে হার্ট অ্যাটাকে মারা যান তিনি। অস্ট্রেলিয়ার সাবেক এ ব্যাটসম্যানের সঙ্গে প্রায় এক দশক ধরে মন দেওয়া-নেওয়া ছিল কেরির। এক সময় ভেঙে যায় তাদের সম্পর্ক। দুজনের একটি সন্তানও আছে।
ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত ছিলেন জোন্স। কেরির সঙ্গে তাঁর পরিচয় ১৯৯৮ সালে এক সেলিব্রিটি গলফ টুর্নামেন্টে। আন্তর্জাতিক ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টের পেশায় কাজ করা কেরি তখন খণ্ডকালীন মডেল। জোন্স ক্রিকেটের বাইরে গলফ খেলা খুব পছন্দ করতেন। সেই গলফ টুর্নামেন্ট থেকেই উদ্দাম প্রেমে জড়িয়ে পড়েন বিবাহিত জীবনে দুই সন্তানের জনক জোন্স। কেরির সঙ্গে দেখা করতে মেলবোর্ন থেকে সিডনিতে ছুটে যেতেন জোন্স।
২০০৯ সালে এসে জন্ম হয় কোবির। পরের বছরের মাঝামাঝি সময়ে দুজনের প্রেমের খবর প্রকাশ্যে চলে আসে। এখন স্কুল শিক্ষিকার কাজ করা কেরি সে সময় সন্তানের ভরণ-পোষণের দাবি জানিয়েছিলেন জোন্সের কাছে। কেরি দাবি করেছিলেন, জোন্স বিবাহিত ছিলেন সে কথা তিনি জানতেন না। বিয়ের খবরটা চেপে গিয়েই তাঁর সঙ্গে প্রেমে মজেছিলেন জোন্স। তবে কোবির পিতৃত্বের দায়ভার তখন স্বীকার করে নিয়েছিলেন খ্যাতিমান এ ক্রিকেট ব্যক্তিত্ব। সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, কাল তাঁর মৃত্যুর প্রায় দুই ঘণ্টা পর থেকে কেরির টুইটার অ্যাকাউন্টে আক্রমণাত্মক মন্তব্য করতে শুরু করেন নেটিজেনরা।
এক দশক আগে দুজনের সম্পর্ক প্রকাশ্যে আসার পর মুখ খুলেছিলেন জোন্স। সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেছিলেন, ‘আমি নিশ্চিত করতে পারি মা ও বাচ্চার দেখাশোনা করার ব্যাপারে যতটুকু সম্মত হয়েছিলাম তার চেয়ে বেশি দেখাশোনা করছি। কোনোভাবেই নিজের দায়িত্ব থেকে সরে আসিনি। ক্ষমা চাওয়াটা ছিল আমার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া।’