জেনিফার অ্যানিস্টনকে চেনেন না আর্চার!
জনপ্রিয় হলিউড অভিনেত্রী জেনিফার অ্যানিস্টন কার না চেনা! তর্ক সাপেক্ষে সর্বকালের সেরা সিট কম টিভি সিরিজ ফ্রেন্ডসের এই অভিনেত্রী বিশ্বজুড়েই তুমুল জনপ্রিয়। কিন্তু ইংলিশ তারকা ফাস্ট বোলার জফরা আর্চার নাকি তাঁকে চেনেনই না! সম্প্রতি আর্চারের আইপিএল দল রাজস্থান রয়্যালসের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক ভিডিওতে ধরা পড়ে আর্চারের এই অজ্ঞতা।
রাজস্থানের দুই তারকা বিদেশি ক্রিকেটার বেন স্টোকস ও আর্চার খেলছিলেন প্রশ্নোত্তর খেলা। সেখানেই স্টোকসকে তাঁর পছন্দের সেলিব্রেটির নাম জানতে চেয়ে প্রশ্ন করেন আর্চার। উত্তরে স্টোকস জেনিফার অ্যানিস্টনের নাম নিলে আর্চার একটু অবাকই হন। ফিরতি প্রশ্নে জিজ্ঞেস করেন, ‘উনি আসলে কে?’
আর্চারের প্রশ্ন শুনে স্টোকস যেন আকাশ থেকে পড়লেন, ‘উনি কে! কী জিজ্ঞেস করলে তুমি!’ আর্চার তখন জেনিফার অ্যানিস্টনের জনপ্রিয় সিনেমার নাম জানতে চান। স্টোকস ‘ফ্রেন্ডস’ সিরিজের নাম বলেও আর্চারকে চেনাতে পারেননি। জনপ্রিয় সিরিজটিতে জেনিফার অ্যানিস্টনের চরিত্রের নাম বলার পর অবশেষে মাথা খোলে আর্চারের।
ভিডিওটি পোস্ট করে রাজস্থান রয়্যালস তাদের টুইটারে লিখেছে, ‘নেটফ্লিক্স ইন্ডিয়া, আশা করি এরপরও আমরা তোমাদের বন্ধু থাকব।’ নেটফ্লিক্স ইন্ডিয়াও ফিরতি উত্তরে লিখেছে, ‘আমরা সব সময় তোমাদের পাশে আছি।’
জেনিফার অ্যানিস্টনকে চিনতে কষ্ট হয়েছে আর্চারের, আর তাঁর দল রাজস্থানের অন্য খেলোয়াড়দের চেনা যায়নি এবারের আইপিএলে। এই আইপিএলটা রাজস্থানের ‘ভুলে যেতে পারলেই বাঁচি’ তালিকায়ই পড়বে। সঞ্জু স্যামসন, স্টিভ স্মিথ, জফরা আর্চার, রাহুল তেওয়াতিয়ারা মিলে আইপিএলের শুরুতে রাজস্থানকে দারুণ শুরু এনে দিয়েছিলেন। এরপর কী যেন হলো দলটির! বোলিং আক্রমণটা একাই টানছিলেন আর্চার। স্যামসন, স্মিথরা রান না পেলে বড় রানও পাচ্ছিল না দলটি।
জস বাটলার ও স্টোকস টুর্নামেন্টের মাঝপথে যোগ দিয়েও সে দিকটায় বড় পরিবর্তন আনতে পারেননি। শুরুর দিকে দুজনই থিতু হতে কিছু ম্যাচ খরচা করেছেন। টুর্নামেন্টের শেষের দিকে স্টোকসের সৌজন্যে দুটি ম্যাচ জিতলেও শেষ চারে যেতে পারেনি রাজস্থান। ১৪ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকার তলানিতে থেকে শেষ হয়েছে রাজস্থানের আইপিএল। অথচ শুরুতে এবারের রাজস্থানকেই মনে হয়েছিল টুর্নামেন্টের সবচেয়ে ভয়ংকর দল!
টুর্নামেন্টে এমন ভরাডুবির কারণ হিসেবে দলের অধারাবাহিকতাকে দায়ী করেছেন কোচ অ্যান্ড্রু ম্যাকডোনাল্ড, ‘যে ধরনের ক্রিকেট আমরা পুরো টুর্নামেন্টে খেলেছি, সেটা অধারাবাহিক ছিল। দুটি ম্যাচ তো আমরা সহজেই জিততে পারতাম। বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে একটা ম্যাচ মনে পড়ে, ডি ভিলিয়ার্স একাই ম্যাচটা ওদের জিতিয়ে নিয়ে যায়। দিল্লির বিপক্ষেও একটা ম্যাচ আমরা শেষটা ঠিক করতে পারিনি। কন্ডিশন, ভেন্যু—এসবের অজুহাত দেওয়া সাজে না। আমরা অধারাবাহিক ক্রিকেট খেলেছি।’