জার্সির স্পনসর খুঁজে পাচ্ছে না ভারত
দলের জার্সি ও পোশাকসামগ্রীর জন্য স্পনসর পাচ্ছে না বিসিসিআই। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে, ভিত্তিমূল্য কমিয়ে সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে না।
২০১৬ সাল থেকে ভারতীয় দলের জার্সি ও অন্যান্য পোশাকসামগ্রীর স্পনসর ছিল নাইকি। এই সেপ্টেম্বরে তাদের সঙ্গে চুক্তি শেষ হয়ে গিয়েছে বিসিসিআইয়ের। এবং চুক্তি নবায়নের ব্যাপারেও তেমন আগ্রহ দেখা যায়নি নাইকির পক্ষ থেকে। এর পেছনে সবচেয়ে বড় হাত করোনাভাইরাসের। মহামারি এই ভাইরাসের কারণে আজ বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা বিরাজ করছে। যার কারণে অতিরিক্ত মূল্য দিয়ে ভারতের স্পনসর থাকতে চাইছে না নাইকি।
বিসিসিআইও বুঝেছিল, নাইকিকে ধরে রাখা যাবে না। কেন রাখা যাবে না, সেটাও বুঝেছিল। যে কারণে নিজেদের দাবি দাওয়া কমিয়ে দিয়েছিল। আগে প্রতি ম্যাচের জন্য নাইকির কাছ থেকে প্রায় ৮৮ লাখ রুপি করে পেত ভারত। সঙ্গে রয়্যালটি হিসেবে মোট বিক্রিবাট্টার ১৫ শতাংশ পেত বিসিসিআই, বছরে দশ কোটি রুপির মতো। খুব স্বাভাবিকভাবেই করোনার কারণে এত বেশি টাকা দিয়ে নাইকির পক্ষে থাকা সম্ভব নয়। চার বছরে সব মিলিয়ে নাইকির কাছ থেকে ৩৭০ কোটি টাকা পেয়েছে বিসিসিআই। বর্তমান পরিস্থিতিতে যা কল্পনাও করা যায় না।
যে কারণে ভবিষ্যৎ স্পনসরদের জন্য চাহিদার মাত্রাটা কমিয়ে দিয়েছিল ভারতীয় বোর্ড। টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রকাশিত এক খবর অনুযায়ী, প্রতি ম্যাচের জন্য যারা আগে ৮৫ থেকে ৮৮ লাখ টাকা দাবি করত, প্রায় ৩১ শতাংশ কমিয়ে বিসিসিআই এখন সেই ভিত্তিমূল্য নির্ধারণ করেছিল ৬৫ কোটির মতো। মুম্বাই মিররের মতে, চারটি ক্রীড়াসামগ্রী নির্মাতা প্রতিষ্ঠান দাম হাঁকাক, চাইছিল বিসিসিআই। সাবেক স্পনসর নাইকির সঙ্গে অ্যাডিডাস, পুমা ও ফ্যানকোড— এই চার প্রতিষ্ঠানের কেউ নতুন স্পনসর হবেন, মনে করা হচ্ছিল। কিন্তু সেটা হয়নি। দাম কমিয়ে দেওয়ার পরেও স্পনসর পায়নি বিসিসিআই।
এমনকি অনেক সময় দেখা যায় ভিত্তিমূল্যের চেয়েও কমে অনেকে দাম হাঁকান। এবার সেটাও হয়নি।
পরিস্থিতির পরিবর্তন না হলে আসন্ন অস্ট্রেলিয়া সিরিজে কোনো জার্সি স্পনসর ছাড়াই সফর করবেন কোহলি-রোহিতরা।