জাম্পার স্পিন-কামড়েই গভীর ‘ক্ষত’ বাংলাদেশের
সুপার টুয়েলভে কোনো ম্যাচ জিততে পারেনি বাংলাদেশ। পাঁচ ম্যাচের সব কটিতেই হেরে আজ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিল বাংলাদেশ।
মিরপুরে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজ জয়ের সময় উইকেট নিয়ে অনেক কথা হয়েছে। স্পিনবান্ধব ও রান তোলা কঠিন—এমন উইকেটে খেলে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কী এমন ফায়দা হবে তা নিয়ে প্রচুর আলোচনা হয়েছে।
তখন বলা হয়েছিল, আরব আমিরাতের কন্ডিশন যেহেতু প্রায় বাংলাদেশের মতোই, আর উইকেটও স্পিনবান্ধব ও মন্থর তাই সমস্যার চেয়ে সুবিধাই হবে বেশি। ফল মিলল?
সুপার টুয়েলভে কোনো ম্যাচ জিততে পারেনি বাংলাদেশ। পাঁচ ম্যাচের সব কটিতেই হেরে আজ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিল বাংলাদেশ। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আজ শেষ ম্যাচে তেমন উইকেটেই জাম্পা বুঝিয়ে দিলেন, উইকেট যেমনই হোক স্পিনটা খেলতে জানলে সমস্যা নিয়ে এত কথা এবং এত অজুহাত উঠত না।
৪ ওভারে ১৯ রানে ৫ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা এ লেগ স্পিনার ব্যাটিংয়ে দৈন্যদশা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন।
টি-টোয়েন্টিতে এটাই জাম্পার ক্যারিয়ার সেরা বোলিং। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কোনো অস্ট্রেলিয়ানের সেরা বোলিং ফিগারও। টি-টোয়েন্টিতে এর আগে বাংলাদেশের বিপক্ষে কোনো স্পিনার ৫ উইকেট নিতে পারেননি।
২০১৮ সালে দেরাদুনে রশিদ খানের ১২ রানে ৪ উইকেট নেওয়ার কীর্তি পেছনে ফেলে আজ প্রথম স্পিনার হিসেবে এ সংস্করণে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৫ উইকেটের দেখা পেলেন জাম্পা। যদিও এসব তথ্য দিয়ে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে জাম্পারের স্পিন-কামড়ের গভীরতা বোঝানো যায় না।
সপ্তম ওভারে বোলিংয়ে এসে আফিফ হোসেনকে তুলে নিয়ে বাংলাদেশের ইনিংসের শেষের শুরুটা করেছিলেন জাম্পা। বাংলাদেশ তখন ৬.১ ওভারে ৫ উইকেটে ৩৩। এরপর ১১তম ওভারে এসে টানা দুই বলে দুই উইকেট তুলে নেন—এবার শিকার শামীম হোসেন ও মেহেদী হাসান।
১১ ওভারের মধ্যে ৬২ রান তুলতে ৭ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ তখন ধুঁকছে। এরপর ১৫তম ওভারে গিয়ে শেষও করেন জাম্পাই—এবারও দুই উইকেট তবে সেটি তিন বলের ব্যবধানে। টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন (৭৩) রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ।