জস বাটলার, ইংল্যান্ড
বাটলারকে আগেভাগে ফেরাও, ম্যাচ জেতার সম্ভাবনা বাড়াও—নিশ্চিত এই মন্ত্র নিয়েই আজ মাঠে নামবে নিউজিল্যান্ড। ইংল্যান্ডের উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কী অবলীলায় না ধ্বংস করেছেন প্রতিপক্ষের বোলারদের।
৫ ইনিংসে ৩ বার অপরাজিত থেকে ২৪০ রান, গড় ১২০, স্ট্রাইক রেট ১৫৫.৮৪, সর্বোচ্চ ১৩টি ছক্কা—পারফরম্যান্সের বিচারে বাটলারের ধারেকাছেও নেই অন্য কেউ। ইংল্যান্ডের হয়ে টি-টোয়েন্টিতে প্রথম সেঞ্চুরিটা এবারই পেয়েছেন বাটলার।
ক্রিস জর্ডান, ইংল্যান্ড
পাঁচ ম্যাচে ৬ উইকেট। ইংলিশ পেসারকে উইকেটসংখ্যায় বিচার করলে ভুল হবে। টি-টোয়েন্টিতে উইকেট নেওয়াটাই তো সব নয়। শেষের ওভারগুলোয় জর্ডানের ইয়র্কার কতটা ভয়ংকর, সেটি টের পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া।
দুবাইয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১৯তম ওভারে মাত্র ২ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছিলেন জর্ডান। পরের ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৮তম ওভারে ৪ রান দিয়ে জর্ডান নেন ১ উইকেট।
মার্টিন গাপটিল, নিউজিল্যান্ড
এবারের বিশ্বকাপে স্কটল্যান্ড ছাড়া অন্য কোনো দলের বিপক্ষে এখনো জ্বলে উঠতে পারেননি মার্টিন গাপটিল। তবে নিউজিল্যান্ডের উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানের সামর্থ্য নিয়ে কোনো সংশয় থাকার কথা নয়। নিজের দিনে কী করতে পারেন, সেটি বারবারই দেখিয়েছেন কিউই ব্যাটসম্যান।
এই বিশ্বকাপেই আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ৩ হাজার রানের মাইলফলক ছোঁয়া গাপটিল আটটি ছক্কা মেরেছেন এবার, যার সাতটিই অবশ্য স্কটিশদের বিপক্ষে ৫৬ বলে ৯৩ রান করার পথে।
ট্রেন্ট বোল্ট, নিউজিল্যান্ড
এবার ৫ ম্যাচ খেলেই ১১ উইকেট পেয়ে গেছেন কিউই পেসার। প্রতিপক্ষকে সুইংয়ে জেরবার করে প্রতি ম্যাচেই উইকেট নেওয়া বোল্টের ওভারে রান নেওয়াই মুশকিল ব্যাটসম্যানদের। ৫.৮৪—বোঝার সাধ্যি কার এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বোল্টের ইকোনমি এটি।
ভারত ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে নিউজিল্যান্ডের মহাগুরুত্বপূর্ণ দুই ম্যাচে ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন বোল্ট। ইংলিশদের আজ সাবধানেই সামলাতে হবে তাঁকে।