চুরি করে বানানো হয়েছে আইপিএলের থিম সং?
আর মাত্র সপ্তাহখানেক সময় বাকি। এরপরই সংযুক্ত আরব আমিরাতে শুরু হবে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে সবচেয়ে জমকালো টুর্নামেন্ট আইপিএল। ভারতের এই টি-টোয়েন্টি লিগ ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছে ভীষণ সমাদৃত। তবে এবার আইপিএল শুরুর আগেই গুরুতর এক অভিযোগ উঠেছে। এবারের সংস্করণের অফিশিয়াল থিম সং নাকি চুরি করা!
কিছুদিন আগে অফিশিয়াল থিম সং ছেড়েছে আইপিএল কর্তৃপক্ষ। গত রোববার এক টুইটে এবার ১৩তম সংস্করণের থিম সংয়ের সঙ্গে সবাইকে পরিচিত করিয়ে দেয় তারা। এই গানে রয়েছে সাম্প্রতিক করোনা-কালের প্রতিচ্ছবি। ‘আয়েঙ্গে হাম ওয়াপস’ নামে এই গানের কথাগুলো করোনাভাইরাস মহামারি থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর পক্ষে প্রেরণাদায়ক। এমনকি শচীন টেন্ডুলকার পর্যন্ত বলেছিলেন, করোনায় ক্ষতিগ্রস্তদের সংখ্যায় তাকানোর দৃষ্টিভঙ্গিটা পাল্টে যাবে ভারতীয়দের। আইপিএল শুরু হলে করোনা নিয়ে আতঙ্ক কিছুটা হলেও কাটবে বলে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু ১৯ সেপ্টেম্বর এই টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই বিঁধল অভিযোগের তির।
অভিযোগটা তুলেছেন দিল্লির র্যাপ গায়ক কৃঞ্চ কাউল। ২০১৭ সালে ‘দেখ কউন আয়া ওয়াপস’ নামে একটি গান গেয়েছিলেন তিনি। গানের কথা ও সুর তাঁর করা। ২০১৭ সালের মার্চে এটি ইউটিউবে ছাড়ার পর ভিউসংখ্যা ৭ লাখ পেরিয়ে গেছে। কৃঞ্চের অভিযোগ তাঁর সেই গান থেকে চুরি করা হয়েছে এবার আইপিএলের থিম সং। মানে কৃঞ্চের গান নকল করে বানানো হয়েছে এবার আইপিএলের থিম সং। গত রোববার থিম সং ছাড়ার টুইটের ক্যাপশনে বিসিসিআই লিখেছে, ‘আঘাত যত বড়, ঘুরে দাঁড়ানোও তত শক্তিশালী।’
র্যাপ গায়ক কৃঞ্চ পরের দিনই টুইট করেন চুরির অভিযোগ তুলে, ‘আমার “দেখ কউন আয়া ওয়াপস” গান থেকে চুরি করে এবারের থিম সং “আয়েঙ্গে হাম ওয়াপস” বানিয়েছে আইপিএল। এ জন্য কোনো অনুমতি দেওয়া হয়নি, কৃতজ্ঞতা স্বীকার করা হয়নি। সতীর্থ শিল্পী ও বন্ধুমহলকে অনুরোধ করছি এই টুইটটি রি-টুইট করুন, এভাবে ওরা পার পেয়ে যেতে পারে না।’ ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) গণমাধ্যম বিভাগ দেশটির সংবাদমাধ্যম ‘দ্য প্রিন্ট’কে জানিয়েছে, চুরির অভিযোগ নিয়ে কোনো তথ্য পাননি তারা।
এবার আইপিএল শুরুর আগেই আলোচনায় এসেছে করোনা মহামারি ও চীন-ভারত রাজনৈতিক বিরোধের কারণে। করোনার কারণে আইপিএল এমনিতেই নির্ধারিত সময় মাঠে গড়ায়নি। গত জুনে লাদাখ সীমান্তে উত্তেজনা সৃষ্টি হওয়ার পর চীনের মুঠোফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ভিভোকে আর আইপিএল স্পনসর হিসেবে রাখেনি বিসিসিআই। এখন তাঁদের স্পনসর ফ্যান্টাসি স্পোর্টস গেমিং প্রতিষ্ঠান ড্রিম ১১। এদিকে, অর্থনীতি বিষয়ক কয়েকটি ভারতীয় ওয়েবসাইটের খবর, এই ড্রিম ১১-এও নাকি চীনা প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ আছে।