চলাফেরার শক্তি হারিয়ে ফেলেছেন ক্রিস কেয়ার্নস
অবশেষে সিডনির হাসপাতাল থেকে ক্যানবেরায় নিজের বাসায় ফিরেছেন সাবেক নিউজিল্যান্ড অলরাউন্ডার ক্রিস কেয়ার্নস। তবে সেরে উঠতে এখনো দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হবে তাঁকে। অস্ত্রোপচারের সময় একটা স্ট্রোক হয়েছিল তাঁর। ফলে পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন তিনি।
সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানাচ্ছে, কেয়ার্নসের আইনজীবী অ্যারন লয়েডের এক বিবৃতি অনুযায়ী চলাফেরার শক্তি হারিয়ে ফেলেছেন কেয়ার্নস। সেরে উঠতে সামনে দীর্ঘ এক পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়ে যেতে হবে তাঁকে।
এ মাসের শুরুতে হৃদ্যন্ত্রের মহাধমনিতে গুরুতর সমস্যা ধরা পড়েছিল কেয়ার্নসের। ক্যানবেরার এক হাসপাতালেই জরুরি ভিত্তিতে একটা অস্ত্রোপচার হয়েছিল। তবে পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় ক্যানবেরা থেকে সিডনির এক হাসপাতালে নিতে হয়েছিল তাঁকে।
সিডনির সেন্ট ভিনসেন্ট হাসপাতালে আরেকটি জরুরি অস্ত্রোপচার হয়েছিল কেয়ার্নসের। কয়েক দিন তাঁকে রাখা হয়েছিল লাইফ সাপোর্টেও। ২০ আগস্ট জানানো হয়, লাইফ সাপোর্টের দরকার পড়ছে না তাঁর। উন্নতি হচ্ছে কেয়ার্নসের অবস্থার।
শুক্রবার কেয়ার্নসের এখনকার পরিস্থিতি নিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন লয়েড। তিনি বলেছেন, ‘সিডনিতে জরুরি ভিত্তিতে ক্রিসের জীবন বাঁচাতে যে অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল, সেটার সময় মেরুদণ্ডে স্ট্রোক (কোনো কারণে মেরুদণ্ডে রক্ত চলাচল ব্যাহত হলে এটা হয়) হয়েছে তাঁর। এর ফলে তাঁর পা দুটি পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে পড়েছে।’
আপাতত বিশেষায়িত হাসপাতালের অধীনে দীর্ঘ পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়ে যেতে হবে কেয়ার্নসকে। আবারও কেয়ার্নসের পরিবারকে ব্যক্তিগত সময় দেওয়ার অনুরোধ করেছেন তাঁর আইনজীবী, ‘ক্রিস এবং তাঁর পরিবার একসঙ্গে সময় কাটাতে চায়, সেটা যেখানেই সম্ভব হোক না কেন। তাঁর সেরে ওঠার জন্য যতটা উন্নতি প্রয়োজন, সেদিকে নজর দিতে চায় তারা।’
১৯৮৯ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে নিউজিল্যান্ডের হয়ে ৬২টি টেস্ট ও ২১৫টি ওয়ানডে খেলেছিলেন কেয়ার্নস। একসময় বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার ভাবা হতো তাঁকে। কেয়ার্নসের বাবা ল্যান্সও নিউজিল্যান্ডের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছেন।
খেলা ছাড়ার পর বেশ কিছুদিন ধরে অস্ট্রেলিয়ায় পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন ৫১ বছর বয়সী কেয়ার্নস।