গেইলদের শেষে আসালাঙ্কাদের শুরু
টুর্নামেন্ট থেকে শ্রীলঙ্কার বিদায় নিশ্চিত হয়েছে আগেই। শুধু ওয়েস্ট ইন্ডিজকে বিদায় করে দেওয়া নয়, শ্রীলঙ্কার এ দলটার একটা বার্তা দেওয়ারও ব্যাপার ছিল। যে বার্তা শ্রীলঙ্কার জন্য আশাজাগানিয়া।
‘এখনকার শ্রীলঙ্কার প্রতিটি খেলোয়াড়কেই দেখেছি আমি। তবে পাতুম নিশাঙ্কা ও চারিত আসালাঙ্কার মতো মেধাবী ক্রিকেটার দেখিনি। কোচিং স্টাফ ও নির্বাচক প্যানেলের সদস্য হিসেবে এসব তরুণকে সুযোগ দিতে হবে আমাদের। কারণ, ব্যাটিং বিভাগের নেতৃত্ব নেবে তারাই।’
শ্রীলঙ্কা কোচ মিকি আর্থার এমনিতেই বেশ সরব থাকেন ডাগআউটেও। হতাশাও লুকান না খুব একটা। তবে তাঁর ওপরের কথাটা ঠিক অত্যুক্তি ধরার সুযোগ কম।
জস বাটলার সেঞ্চুরি করার আগে এবার বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ স্কোরটা ছিল আসালাঙ্কারই। আজ কুশল পেরেরার সঙ্গে পাতুম নিশাঙ্কার ওপেনিং জুটিতে শুরুটা ভালো পেয়েছিল শ্রীলঙ্কা। এরপর আসালাঙ্কার সঙ্গে নিশাঙ্কার জুটি গড়ে দিল বড় স্কোরের ভিত।
আসালাঙ্কা সে অর্থে ঝুঁকি নেননি, কিন্তু ফিফটিতে পৌঁছে গেছেন ৩৩ বলেই। নিশাঙ্কাও ফিফটি পেয়েছেন, তবে দুই ইনিংসের মধ্যে এগিয়ে রাখতে হবে তো আসালাঙ্কারটিই।
৪১ বলে ৬৮ রানের ইনিংসে বাঁহাতি আসালাঙ্কার স্ট্রাইক রেট ১৬৮.৮৫।
চার মেরেছেন ৮টি, ছয় মেরেছেন মাত্র ১টি। ষষ্ঠ ওভারে নেমেছিলেন, আউট হয়েছেন ইনিংসের ৮ বল বাকি থাকতে।
টুর্নামেন্ট থেকে শ্রীলঙ্কার বিদায় নিশ্চিত হয়েছে আগেই। শুধু ওয়েস্ট ইন্ডিজকে বিদায় করে দেওয়া নয়, শ্রীলঙ্কার এ দলটার একটা বার্তা দেওয়ারও ব্যাপার ছিল। যে বার্তা শ্রীলঙ্কার জন্য আশাজাগানিয়া। যে শ্রীলঙ্কার দায়িত্ব নেবেন আসালাঙ্কারা।
পরে শিমরন হেটমায়ার শেষ একটা চেষ্টা করেছিলেন, তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে পার করাতে পারেননি। পাতুম নিশাঙ্কা, মহিশ তিকসানা, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার সঙ্গে আসালাঙ্কারা কার্যত শেষ করে দিলেন টি-টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের একটা যুগ। যে যুগে নতুন এক সাম্রাজ্য গড়েছিল ক্যারিবীয়রা।
পরের বিশ্বকাপ পর্যন্ত আসালাঙ্কা-নিশাঙ্কা বা তিকসানা-হাসারাঙ্গা থাকলে শ্রীলঙ্কা আশা করতেই পারে নতুন এক লঙ্কান যুগের।