গাপটিলের আফসোসে রেকর্ড বইয়ের আনন্দ
গাপটিলের আফসোসের দিনে নিউজিল্যান্ড শেষ পর্যন্ত জিতেছে। স্কটল্যান্ডকে ১৬ রানে হারিয়ে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের পথে আরও এগিয়ে গেছে কেইন উইলিয়ামসনের দল। সে জয়ে ম্যাচসেরার গৌরবটা গাপটিলেরই।
নিউজিল্যান্ড-স্কটল্যান্ড
মার্টিন গাপটিল
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে তাঁর শতক আছে দুটি। তবে বিশ্বকাপে শতকের মাহাত্ম্য তো সব সময়ই আলাদা। সেদিক থেকে মার্টিন গাপটিলের আফসোস থাকতেই পারে। স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে আজ দুবাইয়ে সুপার টুয়েলভের ম্যাচে যে ৭ রানের জন্য শতকটা পাওয়া হয়নি নিউজিল্যান্ডের উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানের!
তবে গাপটিলের আফসোসের দিনে নিউজিল্যান্ড শেষ পর্যন্ত জিতেছে। স্কটল্যান্ডকে ১৬ রানে হারিয়ে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের পথে আরও এগিয়ে গেছে কেইন উইলিয়ামসনের দল। সে জয়ে ম্যাচসেরার গৌরবটা গাপটিলেরই। সে হিসেবে আফসোসটা একটু কম হওয়ারই কথা গাপটিলের।
এতেও যদি আফসোসের কিছু বাকি থেকে যায়, তবে ক্রিকেটের রেকর্ড বইয়ের একটা তথ্য হয়তোবা আরেকটু ভালো বোধ করাতে পারে গাপটিলকে। ছেলেদের আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে আজকের আগপর্যন্ত ৯৩ রানে কেউ আউট হননি।
গাপটিল সে আফসোস মিটিয়ে দিয়েছেন, আর এতে পূর্ণতা পেল রেকর্ডের বই। ছেলেদের আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এখন ০ থেকে শুরু করে ১০০ পর্যন্ত প্রতিটি স্কোরে অন্তত একজন ব্যাটসম্যান আউট হওয়ার রেকর্ড আছে। গাপটিলের ‘প্রাপ্তি’ বটে!
ম্যাচের পরিস্থিতি বিবেচনায় অবশ্য গাপটিলের ৯৩ রানেই অনেক পাওয়া হয়ে গেছে। কী দারুণ একটা ইনিংসই না ছিল। স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে নিউজিল্যান্ড জিতবে, এমনটা ধরে নিয়েই বেশির ভাগ দর্শক ম্যাচটা হয়তো দেখতে বসেছিলেন।
স্কটল্যান্ডের বাইরে হয়তো ভারতের সমর্থকেরাই যা একটু স্কটিশদের জয়ের আশায় ছিলেন। নিউজিল্যান্ড হেরে গেলে যে সেমিফাইনালের দৌড়ে ভারতের লাভ হতো! সে ম্যাচেই কিনা ৫২ রানেই অধিনায়ক উইলিয়ামসনসহ ৩ ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে বসল নিউজিল্যান্ড। কিন্তু সেখান থেকে গাপটিলের দারুণ ইনিংসে উদ্ধার কিউইদের।
৩৫ বলে অর্ধশতকে পৌঁছানো গাপটিল শেষ পর্যন্ত আউট হয়েছেন ৫৬ বলে ৯৩ রান করে, চার ৬টি, ছক্কা তার চেয়েও একটি বেশি। ইনিংস উদ্বোধনে নেমে এমন দারুণ শেষে গাপটিল যখন আউট হয়ে ফিরছেন, ততক্ষণে নিউজিল্যান্ডের রান হয়ে গেছে ১৫৭।
শেষ পর্যন্ত ১৭২ রান করা নিউজিল্যান্ড ম্যাচটা ১৬ রানে জিতেছে। নিউজিল্যান্ডের কোনো বোলারই সেভাবে আলো ছড়াতে পারেননি। এমন ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় খুঁজে নিতে দ্বিতীয়বার তো আর ভাবতে হয় না!