গতিসীমা ভেঙে জরিমানা আফ্রিদির, ১২০ কিমি গতিতে গাড়ি চালাতে চান
গাড়ি চালিয়ে লাহোর থেকে করাচি ফিরছিলেন শহীদ আফ্রিদি। মসৃণ মহাসড়কে নিজেকে সামলাতে পারেননি পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক। খেলোয়াড়ি জীবনে ব্যাট যেভাবে চালাতেন, গাড়িও চালালেন সেভাবেই। অ্যাকসিলারেটর দাবিয়ে গতি তুললেন, যেন গাড়িটা হাওয়ায় উড়িয়ে পৌঁছে যাবেন করাচি। তাতে ভেঙেছে সড়কে বেঁধে দেওয়া গতিসীমা। বেরসিক হাইওয়ে পুলিশ সেটি মানবে কেন! আফ্রিদির গাড়ি থামিয়ে হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে জরিমানার টিকিট।
পাকিস্তানের উর্দু দৈনিক ‘জং’–এর বরাতে খবরটা দিয়েছে জিও স্পোর্টস। পাকিস্তানের হয়ে ২৭ টেস্ট, ৩৯৮ ওয়ানডে আর ৯৯ টি-টোয়েন্টি খেলা সাবেক এই অলরাউন্ডারকে ১ হাজার ৫০০ রুপি জরিমানা করা হয়েছে। তবে জরিমানা হজম করেও আফ্রিদি নিজের অবস্থানে অটল। হাইওয়ে পুলিশের প্রশংসা করেছেন। কারণ, তাঁরা তাঁকে চিনেও নাকি ছেড়ে দেয়নি। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিয়েছে। আইন যে সবার জন্য সমান, সেই নীতি সমুন্নত রেখেছে হাইওয়ে পুলিশ। তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে তোলা একটি ছবিও পোস্ট করেছেন।
বিনয়ের সঙ্গে একটা প্রস্তাব রাখতে চাই। পাকিস্তানের হাইওয়েগুলো খুবই ভালো। খুব সহজেই সর্বোচ্চ গতিসীমা ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার বেঁধে দেওয়া যায়।
আফ্রিদি টুইটারে লিখেছেন, ‘আমাদের হাইওয়ে পুলিশ সদস্যরা খুবই পেশাদার।’ তবে আফ্রিদি জরিমানা দিলেও গতির প্রতি নিজের দুর্বলতার কথাটা টুইটে জানিয়ে দিয়েছেন, ‘বিনয়ের সঙ্গে একটা প্রস্তাব রাখতে চাই। পাকিস্তানের হাইওয়েগুলো খুবই ভালো। খুব সহজেই সর্বোচ্চ গতিসীমা ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার বেঁধে দেওয়া যায়।’