ক্রিকেট মাঠে আবারও মৃত্যু
>ক্রিকেট মাঠে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ার উদাহরণ নতুন নয়। এই তালিকায় সংযোজিত হলো নতুন নাম, ভারতীয় ক্রিকেটার রাজেশ ঘোটগে।
ফিল হিউজের স্মৃতিটা এখনো টাটকা। তরুণ অস্ট্রেলীয় পেসার শন অ্যাবটের বলে আঘাত পেয়ে না ফেরার দেশে চলে গিয়েছিলেন অস্ট্রেলীয় ওপেনার ফিলিপ হিউজ। তার আগে ঢাকার মাঠে খেলতে এসে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছিলেন ভারতীয় ক্রিকেটার রমন লাম্বা। মৃত্যুর এই মিছিলে এবার যুক্ত হলো আরও একজন—ভারতের গোঁয়ার এক ক্রিকেটার রাজেশ ঘোটগে।
নব্বইয়ের দশকে গোঁয়ার হয়ে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলে বেশ নাম কামিয়েছিলেন এই ক্রিকেটার। গোঁয়ার হয়ে দুটি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ ও আটটি লিস্ট 'এ' ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা আছে এই ক্রিকেটারের। গত রবিবার দক্ষিণ গোঁয়ার মারগাও শহরে একটা ঘরোয়া টুর্নামেন্টে নিজের দলের হয়ে ব্যাট করছিলেন তিনি। ৩০ রান করাও হয়ে গিয়েছিল। বোলিং প্রান্তে দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে হঠাৎ পড়ে যান ৪৩ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার। পরে তাকে নিকটস্থ ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে গেলেও লাভ হয়নি। সেখানেই শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
ক্রিকেট মাঠে মরে যাওয়ার উদাহরণের তালিকা এর ফলে লম্বাই হলো। ক্রিকেটের মাঠে সর্বপ্রথম মারা যান ইংলিশ ক্রিকেটার জর্জ সামারস, ১৮৭০ সালে। সামারস ছাড়াও ইংলিশ ক্রিকেটারদের মধ্যে খেলার মাঠে খেলতে গিয়ে মারা গেছেন অ্যান্ডি ডুকাট ও উইলফ স্ল্যাক। উপমহাদেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে রমন লাম্বা ছাড়াও মারা গেছেন পাকিস্তানের আব্দুল আজিজ, জুলফিকার ভাট্টি ও ওয়াসিম রাজা। সর্বশেষ, অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া ক্রিকেট খেলতে গিয়ে পেসার শন অ্যাবটের এক বাউন্সারে কানের পেছনে আঘাত পেয়ে মৃত্যুবরণ করেন সাবেক অস্ট্রেলীয় ওপেনার ফিলিপ হিউজ। হাসপাতালে নিবিড়-পরিচর্যাকেন্দ্রে দু’দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করেও ফিরতে পারেননি তিনি।