কোহলির ভারত সর্বকালের সেরা
অর্জনের দিক থেকে বিরাট কোহলির ভারত এখনো বহু পিছিয়ে আছে। কপিল দেবের ভারত বিশ্বকাপ জিতেছে। সৌরভ গাঙ্গুলীর ভারত জিতেছে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। মহেন্দ্র সিং ধোনির ভারত তো জিতেছে সবই। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, চ্যাম্পিয়নস ট্রফি—আইসিসির প্রতিটি বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট। টেস্ট র্যাঙ্কিংয়েও ভারত প্রথমবারের মতো শীর্ষে উঠেছিল ধোনির অধিনায়কত্বেই।
সে তুলনায় কোহলি অধিনায়ক হয়ে জেতেননি তেমন কিছু। জুনে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে হারাতে পারলে সে অতৃপ্তি দূর হবে কোহলির। সুনীল গাভাস্কারের অবশ্য তর সইছে না। কোহলির ভারতীয় দলকে তিনি এরই মধ্যে সর্বকালের সেরা দল বলে ঘোষণা করেছেন।
বিরাট কোহলির অধীনে একটি দিকেই দারুণ উন্নতি করেছে ভারত। টেস্টে এখন সবদিক থেকেই শীর্ষ দল ভারত। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে গিয়ে টানা দুটি সিরিজ জেতা হয়েছে। এর মাঝে গত ডিসেম্বর-জানুয়ারির সিরিজে তো প্রায় দ্বিতীয় দল নিয়েই অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছে ভারত। টানা পাঁচ বছর ধরে টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষ অবস্থানে থেকে বছর শেষ করেছে কোহলির দল।
গাভাস্কার অবশ্য এই রেকর্ড নিয়ে ভাবছেন না, তাঁর যুক্তি অন্য। এই ভারতীয় দলে ম্যাচ জেতানোর মতো খেলোয়াড়ের অভাব নেই। এ কারণেই এই দলকে সর্বকালের সেরা মানছেন সাবেক ওপেনার। ইউটিউবের অ্যানালিস্ট শোতে বলেছেন, ‘তুলনা টানা সব সময়ই কঠিন কিন্তু আমার ধারণা, এটিই সম্ভবত আমাদের দেখা সেরা ভারতীয় দল। দারুণ ভারসাম্যপূর্ণ দল। চ্যাম্পিয়ন ব্যাটসম্যান আছে, চ্যাম্পিয়ন ফাস্ট বোলার আছে, দারুণ সব স্পিনার আছে। ওদের দারুণ এক উইকেটকিপার আছে। একজন তরুণ উইকেটকিপার যে বহু বহু বছর বিশ্ব ক্রিকেট শাসন করবে।’
গাভাস্কারের এমন তুলনা নির্ঘাত ভারতীয় সমর্থকদের দুই ভাগে বিভক্ত করে দেবে। কারণ, টেস্টে যতই দাপট দেখাক না কেন, সংক্ষিপ্ত সংস্করণে এই দল এখনো সাফল্য পায়নি। ২০১৯ বিশ্বকাপ ও ২০১৭ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ফেবারিটের তকমা লাগিয়েও ব্যর্থ হয়েছে। সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ঘরের মাঠে হওয়ার পরও ফাইনালে উঠতে পারেনি ভারত। সে তুলনায় ২০০৭ থেকে ২০১৩ সালে ভারতীয় দল সম্ভাব্য সবকিছু জিতে নিয়েছে। ২০১১ বিশ্বকাপের ভারতীয় দলকে তো টেন্ডুলকার তাঁর ক্যারিয়ারের সেরা দল বলেছিলেন।
গাভাস্কার নিজের মতেই অটল। তাঁর ধারণা, গত ৬০ বছরে এমন পরিপূর্ণ দল পায়নি ভারত, ‘১৯৬০ সালের পর থেকে যা দেখেছি, তাতে আমি এটাই বিশ্বাস করি। এটাই সর্বকালের সেরা ভারত দল। খুব সহজ এক কারণ, এটার ভারসাম্য। কোনো দুর্বলতা নেই। আপনি চাইলে বলতে পারেন ব্যাটিং লাইনআপের ওপরের দিকে বা এদিকে-ওদিকে, কিন্তু আমার মনে হয় না ভারত দলে কোনো দুর্বলতা আছে।’
১৮ জুন শুরু হবে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল। ২২ জুনই জানা যাবে গাভাস্কারের আস্থার জবাব এ দল দিতে পারল কি না।