কোহলির পেছনে টেন্ডুলকার, সামনে গাভাস্কার
>টেস্টে দ্বিতীয় দ্রুততম ভারতীয় হিসেবে ছয় হাজার রানের মাইলফলক ছুঁলেন বিরাট কোহলি।
শিখর ধাওয়ান ফিরতেই উইকেটে এলেন তিনি। অপেক্ষা ছিল মাত্র ৬ রানের। নিজের ১১তম বলে ঘুচিয়ে দিলেন এই অপেক্ষা। ড্রাইভ খেলেছিলেন, বলটা তাঁর ব্যাটের কানা ছুঁয়ে স্লিপ অঞ্চল দিয়ে দড়ির ওপাশে। টেস্টে ৬০০০ রানের মাইলফলক ছুঁয়ে ফেললেন বিরাট কোহলি।
সাত বছরের টেস্ট ক্যারিয়ারে মাইলফলক তো তিনি কতই ছুঁয়েছেন। তার মধ্যে ‘ছয় হাজারি’ ক্লাবটা সর্বশেষ সংযুক্তি। অভিজাত এই দলে নাম লেখাতে ১১৯ ইনিংস লাগল কোহলির। সবচেয়ে কম ইনিংস খেলে ছয় হাজারি ক্লাবে নাম লেখানো ভারতীয়দের মধ্যে কোহলি দ্বিতীয় দ্রুততম। ভারতীয় অধিনায়ক এই পথে পেছনে ফেলেছেন শচীন টেন্ডুলকারকে। ক্যারিয়ারের ৭৬তম টেস্টে ১২০তম ইনিংসে এসে মাইলফলকটির দেখা পেয়েছিলেন ‘লিটল মাস্টার’।
তবে ভারতীয় ক্রিকেটের প্রথম ‘লিটল মাস্টার’কে টপকাতে পারেননি কোহলি। ইনিংস সংখ্যায় দ্রুততম ভারতীয় হিসেবে ছয় হাজার রানের মাইলফলক ছোঁয়ার কীর্তিটা সুনীল গাভাস্কারের। ক্যারিয়ারের ৬৫তম টেস্টে ১১৭তম ইনিংসে এসে ৬০০০ রানের দেখা পেয়েছিলেন গাভাস্কার। আর কোহলি একই মাইলফলকের দেখা পেলেন তাঁর ক্যারিয়ারের ৭০তম টেস্টে।
তবে বছর হিসাব করলে গাভাস্কারের চেয়ে কম সময়ে এই মাইলফলকে পৌঁছালেন কোহলি। গাভাস্কারের লেগেছে ৯ বছর। আর কোহলির ৭ বছর। আশ্চর্যের বিষয় হলো, কোহলি রানে প্রতি হাজারের মাইলফলক ছুঁয়েছেন আগের চেয়ে দ্রুতগতিতে। হাজার রান করতে তাঁর লেগেছে ২৭ ইনিংস। এখান থেকে দুই হাজারে পৌঁছাতে খেলেছেন ২৬ ইনিংস। তিন হাজারে যেতে ২০ ইনিংস, চার হাজারে যেতে ১৬ ইনিংস, পাঁচ হাজারে যেতেও তা-ই (১৬ ইনিংস) আর সেখান থেকে ছয় হাজারে যেতে খেললেন মাত্র ১৪ ইনিংস। ভাবা যায়!
দ্রুততম ৬০০০ রানের রেকর্ডটি স্যার ডন ব্র্যাডম্যানের। সর্বকালের সেরা এই ব্যাটসম্যান মাইলফলকটার দেখা পেয়েছিলেন ৬৮তম ইনিংসে! কোহলি এই তালিকায় নবম দ্রুততম ব্যাটসম্যান। প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সাউদাম্পটন টেস্টের দ্বিতীয় দিনে প্রথম ইনিংসে ভারতের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ১৮১। কারেনকে ড্রাইভ করতে গিয়ে স্লিপে কুকের ক্যাচ হওয়ার আগে কোহলি করে গেছেন ৪৬ রান।