কোহলির পেছনে ‘অপরাধী’ ফিঞ্চ
ইতিহাস দ্বিতীয়কে মনে রাখে না। অ্যারন ফিঞ্চেরও মনে রাখার কোনো কারণ নেই। দল হারলে ব্যক্তিগত অর্জনে তো কিছু যায় আসে না। তবু তো অর্জন। আর সে পথে ফিঞ্চ পেছনে ফেলেছেন রোহিত শর্মা, ডেভিড ওয়ার্নার, ব্রেন্ডন ম্যাককালামদের। অস্ট্রেলিয়া অধিনায়কের তাই কালকের অর্জনটা দ্রুত ভুলে যাওয়ারও কোনো কারণ নেই।
সাউদাম্পটনে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে কাল ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। ২ রানের হারে শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি সফরকারি দলের।
লক্ষ্য যে আহামরি কিছু ছিল তা-ও না। ওপেনার জস বাটলারের ২৯ বলে ৪৪ ও তিনে নামা ডেভিড ম্যালানের ৪৩ বলে ৬৬ রানের সৌজন্যে আগে ব্যাট করা ইংল্যান্ড ১৬৩ রানের লক্ষ্য দেয় অস্ট্রেলিয়াকে। লক্ষ্যটা ডেভিড ওয়ার্নার, ফিঞ্চ, স্টিভ স্মিথ, মার্কাস স্টইনিসদের কাছে তেমন শক্ত কিছু হওয়ার কথা নয়। আর শুরুটাও হয়েছিল দুর্দান্ত। ১১তম ওভারে ফিঞ্চ আউট হওয়ার আগে ওপেনিং জুটিতে ৯৮ রান পেয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু ১২৪ থেকে ১৩৩—এই ৯ রান তুলতে ৪ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে অস্ট্রেলিয়া। বলা ভালো জফরা আর্চার-আদিল রশিদ আটকে দেন অস্ট্রেলিয়াকে।
অস্ট্রেলিয়ার কিন্তু তবু জয়ের সুযোগ ছিল। ১৮ ওভার শেষে তাদের সংগ্রহ ছিল ৫ উইকেটে ১৪৪। এখান থেকে শেষ দুই ওভারে জয়ের জন্য ১৯ রান তুলতে পারেনি ফিঞ্চের দল। ক্রিস জর্ডান-স্যাম কারেন মিলে জয় নিশ্চিত করেন ইংল্যান্ডের। হারের দায়টা নিজেদের কাঁধে তুলে নিয়েছেন ফিঞ্চ, ‘ডেভি (ওয়ার্নার) এবং আমার দায়টা বেশি। ভালো শুরু করেও ম্যাচ জেতানোর মতো অবদান রাখতে পারিনি।’
৪৭ বলে ৫৮ রান করেন ওয়ার্নার। ফিঞ্চ করেন ৩২ বলে ৪৬। এ পথে তিনি টি-টোয়েন্টিতে দ্বিতীয় দ্রুততম ব্যাটসম্যান হিসেবে পেয়েছেন ২০০০ রানের মাইলফলকের দেখা। ৬২তম ইনিংসে এসে মাইলফলকটির দেখা পেলেন এ ওপেনার। ৫৬ ইনিংসে ২০০০ রান তুলে রেকর্ডটির মালিক বিরাট কোহলি। সব মিলিয়ে টি-টোয়েন্টিতে ১০ম ব্যাটসম্যান হিসেবে মাইলফলকটির দেখা পেলেন তিনি। রোহিত শর্মা, ওয়ার্নার, ম্যাককালামরা এ তালিকায় আগে ঢুকলেও ফিঞ্চের মতো এত দ্রুত আসতে পারেননি।
তবু ফিঞ্চের মন ভালো থাকার কথা না। জয়ের জন্য শেষ ৫ ওভারে ৩৬ রান দরকার ছিল অস্ট্রেলিয়ার। সহজ এ লক্ষ্য পূরণ করতে পারেননি তারা। অন্যদিকে ইংল্যান্ডের বোলাররা শেষ ৩১ বলে দিয়েছেন মাত্র ৩৩ রান। মিডল অর্ডার বিপাকে পড়লেও শেষ দিকে ম্যাচটা জিততে না পারার আক্ষেপ থাকবে ফিঞ্চদের।