কোহলির পরামর্শ বাংলাদেশে কাজে লাগাবেন ব্ল্যাকউড

সতীর্থ কাইল মায়ার্স ও আলজারি জোসেফের সঙ্গে জার্মেইন ব্ল্যাকউডছবি: প্রথম আলো

টেস্ট ম্যাচে বেশির ভাগ ফিল্ডার সাধারণত ৩০ গজের ভেতরেই থাকেন। বোলাররা ভালো লেংথে বল ফেলে চেষ্টা করেন সুইং, সিম মুভমেন্ট করানোর।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ ব্যাটসম্যান জার্মেইন ব্ল্যাকউড এ সুযোগটা বেশ ভালোভাবেই কাজে লাগিয়ে আসছেন। জায়গা বানিয়ে খেলে বাউন্ডারিতে প্রচুর রান বের করেছেন তিনি।

গত জুলাইয়ের ইংল্যান্ড সফর, নভেম্বরের নিউজিল্যান্ড সফরে এভাবেই রান বের করেন এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান। এবার বাংলাদেশেও ব্ল্যাকউডের লক্ষ্য একটাই, দ্রুত রান করে বোলিং আক্রমণ এলোমেলো করে দেওয়া।

২০১৪ সালে টেস্ট অভিষেকের পর থেকেই ব্ল্যাকউডের নামের পাশে ছিল অধারাহিকতার দুর্নাম—আগ্রাসী মানসিকতার ব্যাটসম্যান, যিনি অসময়ে উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসেন। ২০১৭ সালে টেস্ট দল থেকে বাদ পড়েন এ কারণেই।

এরপর আগ্রাসনের সঙ্গে উইকেটে টিকে থাকার কৌশল রপ্ত করায় পাল্টে যায় ব্ল্যাকউডের ক্যারিয়ার। ২০১৯ সাল থেকে টেস্টে রানের মধ্যে আছেন তিনি। এবার ব্ল্যাকউডের সামনে অপেক্ষা করছে বাংলাদেশ চ্যালেঞ্জ।

ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডে রান পেয়েছেন ব্ল্যাকউড
ফাইল ছবি: এএফপি

ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডে রান করলেও উপমহাদেশের কন্ডিশনে একইভাবে খেলতে পারবেন কি না, এমন প্রশ্নে কাল ব্ল্যাকউড বলেন, ‘আমি নিজের দায়িত্ব বদলাতে চাইব না। গত দুই সিরিজে আমি রান করেছি। আমি এখানেও রান করে যেতে চাই। দলের জন্য আরও কিছু জয় আনতে চাই। এখানকার উইকেট বেশ মন্থর। মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকা আসল। কৌশলগতভাবে আমি খুব বেশি পরিবর্তন করতে পারব না। কিন্তু মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকতে পারি।’

নিজের ব্যাটিং নিয়ে ভারতীয় টেস্ট দলের ক্রিকেটারদের সঙ্গে আলোচনা করছেন এই ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যান। বিরাট কোহলি, শুবমন গিলের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক বেশ ভালো।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিয়মিত কথা হয় তাঁদের সঙ্গে। ব্ল্যাকউড আবার ঋষভ পন্তের সঙ্গে নিজের ব্যাটিংয়ের মিল পান। স্বদেশি হার্ড হিটার আন্দ্রে রাসেলও ব্ল্যাকউডের ব্যাটিং ভাবনায় বড় পরিবর্তন এনেছেন।

বিরাট কোহলিও জায়গা করে শট খেলে থাকেন
ফাইল ছবি: এএফপি

এ ব্যাপারে ব্ল্যাকউড বলেন, ‘আমি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ কয়েকবার বিরাট কোহলির সঙ্গে কথা বলেছি। শেষবার যখন ভারত ক্যারিবিয়ানে আসে, তখনো কথা হয় আমাদের। আমি তাকে আমাদের ব্যাটিংয়ের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করেছিলাম। আমি কেন এত ফিফটি করছি, কিন্তু সেঞ্চুরি না। সে আমাকে বলেছিল, “তুমি সেঞ্চুরি করতে কয় বল খেলেছিলে?” আমি বলেছিলাম, “২১২ বল”। এরপর কোহলি বলেছিল, “এটাই। যদি বেশি বল খেলো, তুমি বেশি রান করবে। সুতরাং এটাই আসল। আমি যদি ২০০-৩০০ বল খেলি, আমার ব্যাটিং অনুযায়ী, আমি যেকোনো কন্ডিশনে রান করতে পারব।’”