কোহলির খাবার তালিকায় এখন কেবল সবজিই
>প্রাণিজ আমিষ খাওয়া একেবারেই ছেড়ে দিয়েছেন বিরাট কোহলি। ছেড়েছেন ডিম আর দুগ্ধজাত দ্রব্যও। শাকসবজি খেয়ে দিন কাটছে কোহলির। ভারতীয় অধিনায়কের এটাই নতুন অভ্যেস।
প্রায় এক দশক আগের বিরাট কোহলি কেমন ছিলেন? অমিত সম্ভাবনাময় নাদুসনুদুস ফোলা গালের এক তরুণ, যে বিরিয়ানি খেতে খুব পছন্দ করে। ঠিক সে অর্থে মোটা নয় তবে শরীরে এখনকার তুলনায় চর্বিটা বেশিই ছিল। আর এখন? কোহলির ফিটনেস যেকোনো তরুণের আদর্শ। নিজেকে বদলে ফেলার এই পথে কোহলি এবার নিজেই নিজের ওপর চাপিয়েছেন নতুন নিয়ম—আমিষ খাওয়া যাবে না। অর্থাৎ মাছ-মাংস ছেড়ে শাকসবজি ধরো।
খাবারের ব্যাপারে এমনিতেই পাঁচ-ছয় বছর ধরে কঠোর শৃঙ্খলা মেনে চলেন কোহলি। জন্মসূত্রে উত্তর ভারতীয় হওয়ায় তাঁর আমিষ–প্রীতিটা স্বাভাবিক হওয়ার কথা। কাবাব, তন্দুরি চিকেন আর মাটন উত্তর ভারতীয়দের খাদ্য-সংস্কৃতির অংশ। ভারতের অধিনায়ক একসময় এসব খাবার পছন্দ করলেও চার মাস ধরেই তিনি নিরামিষাশী। এমন খবরই জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম। শরীরে এক ফোঁটা মেদ জমতে না দেওয়ার প্রতিজ্ঞায় চার মাস আগেই প্রাণিজ আমিষ ছেড়েছেন কোহলি। তরল প্রোটিন, শাকসবজি আর সয়া খেয়েই দিন কাটছে বর্তমান বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যানটির। এমনকি ডিম ও দুগ্ধজাত খাবারও এড়িয়ে চলছেন তিনি।
ভারতের সংবাদমাধ্যম ‘টাইমস অব ইন্ডিয়া’কে খবরটি জানিয়েছেন কোহলির ঘনিষ্ঠ এক সূত্র। তিনি বলেন, ‘চার মাস আগে থেকে এমন (নিরামিষ) খাবারবিধি মেনে চলছেন কোহলি। তাঁর মতে, এই খাবারে তাঁর হজমশক্তি বেড়েছে এবং আগের চেয়ে বেশি শক্তি পাচ্ছেন।’ ব্যাটিংয়ের সময় কোহলির টেম্পারামেন্ট বাড়ানোর ক্ষেত্রেও এই খাবারবিধি দারুণ ভূমিকা রাখছে বলে জানিয়েছে সেই সূত্র।
কোহলির আগেই নিরামিষাশী হয়েছেন তাঁর জীবনসঙ্গী আনুশকা শর্মা। এতে ব্যক্তিজীবনে কোহলিরই সুবিধা হয়েছে। রাজকোট টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারানোর পর নৈশভোজে কোহলির প্লেটে শুধু নিরামিষ দেখেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম। কোনো ধরনের আমিষ ছিল না। কোহলি যে তরুণদের জন্য আরও বড় প্রতিজ্ঞা হয়ে উঠতে চান, সেটি কিন্তু তাঁর নতুন এই খাবারবিধিতেই পরিষ্কার।
ঠান্ডা পানীয় অনেক আগেই ছেড়েছেন। নিজে এড়িয়ে চলেন বলে বিশ্বখ্যাত কোমল পানীয় প্রতিষ্ঠান পেপসির সঙ্গে চুক্তিও আর নবায়ন করেননি।