কোহলিদের খোঁচায় তেড়ে যাবেন না ওয়ার্নার
ভারতের শেষবারের সফরে বাগযুদ্ধ কম হয়নি। অস্ট্রেলিয়াও সিরিজ হার এড়াতে পারেনি। তাদের মাটি থেকে প্রথমবারের মতো টেস্ট সিরিজ জয়ের গৌরব নিয়ে ফিরেছিল বিরাট কোহলির দল। ডেভিড ওয়ার্নার কি এবার সে কারণেই কৌশল পাল্টাচ্ছেন?
হতে পারে। আবার না–ও হতে পারে। ওয়ার্নার এমনিতে আগ্রাসী ক্রিকেটার। মাঠে দলের জন্য নিংড়ে দেন। হাতের সঙ্গে মুখও চলে ভালোই। কিন্তু বল বিকৃতির সাজা ভোগের পর থেকে একটু অন্য রকম ওয়ার্নারকে দেখা যাচ্ছে। প্রতিপক্ষের সঙ্গে বাগযুদ্ধে তেমন রুচি নেই। ঘরের মাঠে ভারতের বিপক্ষে সিরিজে মুখ বন্ধ রাখার পণ করে মাঠে নামবেন অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার।
কেপটাউন টেস্টে বল বিকৃতি অপরাধের সাজা ভোগ করায় গত সিরিজে তাঁকে পায়নি অস্ট্রেলিয়া। তাতে ওয়ার্নারের নিজেরও ক্ষুধা বাড়ার কথা। গতবার দলের সিরিজ হারে অনেকেই আঙুল তুলেছেন ওয়ার্নার-স্মিথের অনুপস্থিতিকে। এবার তাই মরিয়া হয়ে মাঠে নামার কথা ওয়ার্নারের। তিনি সেভাবেই নামবেন, তবে মুখ নয়, জবাব দেবেন শুধু ব্যাটে। প্রতিপক্ষের প্রতি আরও বিনয়ী ও শ্রদ্ধাশীল হতে মনস্থির করেছেন ওয়ার্নার।
সিরিজের অফিশিয়াল সম্প্রচারক সনি অনলাইনে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছিল। সংবাদ সংস্থা এএফপি তাঁর উদ্ধৃতি প্রকাশ করেছে। ওয়ার্নার বলেন, ‘শেষবার ভারত সফরে ওরা আমাদের সঙ্গে কথার লড়াইয়ে নেমেছিল। সময়ের সঙ্গে আমরা শিখেছি, বিশেষ করে আমি, কথার লড়াই এড়িয়ে গেলে এর উল্টো প্রতিক্রিয়ার প্রতিফলন ঘটানো সম্ভব। ব্যাটটা ব্যবহার করতে হবে।’
প্রতিপক্ষের স্লেজিং কিংবা খোঁচার জবাব দিতে গিয়ে মেজাজ হারানো ক্রিকেটে নতুন কিছু না। অস্ট্রেলিয়া-ভারত সিরিজে এমন বহুবার ঘটেছে। স্টিভ ওয়াহ, ম্যাথু হেইডেন, হরভজন সিং, অ্যান্ড্রু সাইমন্ডস, কোহলিদের এমন ঘটনা শিরোনাম হয়েছে সংবাদমাধ্যমের। ওয়ার্নার মনে করেন, প্রতিপক্ষের খোঁচায় মেজাজ হারালে তার প্রভাব পড়ে সতীর্থদের ওপর।
ওয়ার্নার ব্যাখ্যা করলেন এভাবে, ‘(মেজাজ হারালে) সতীর্থদের ওপর কেমন প্রভাব পড়ে তা তো বোঝা যায় না। তাই প্রতিপক্ষের প্রতি আরও বিনয়ী ও শ্রদ্ধাশীল হতে হবে।’ যদিও মাঠে অস্ট্রেলিয়া দলের চিরায়ত রূপ এমন নয়। এই ওয়ার্নারই একসময় ব্যাটের সঙ্গে মুখেও প্রতিপক্ষকে জ্বালিয়ে ছেড়েছেন।
গত দুই বছরে নিজেকে পাল্টে ফেলার কথা জানিয়েছেন ওয়ার্নার। আগের চেয়ে আরও শৃঙ্খলাপরায়ণ হয়েছেন বয়স বেড়ে চলার সঙ্গে। পিতৃত্ব তাঁকে আরও ধৈর্যশীল করে তুলেছে, ‘বাচ্চারা কথা না শুনলে মেজাজ হারানো চলবে না। মাঠ ও মাঠের বাইরে সব সময় পরীক্ষা দিতে হয়। তাই শান্ত থাকাটাই মূল বিষয়। যেখানে খেলছেন তার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে শান্ত থাকতে হয়। সঠিক সময়ে সঠিক ঝুঁকিটা নিতে হয়। গত ১২-২৪ মাসে আমি এটা ভালোই শিখেছি।’
অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ৪ টেস্ট ও তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি এবং ওয়ানডে সিরিজ খেলবে ভারত। শুক্রবার সিডনিতে প্রথম ওয়ানডে।