কোহলি যদি রোনালদো হয়ে যান...
কথাটা বলেছিলেন পাঞ্জাব কিংসের উইকেটকিপার–ব্যাটসম্যান ভানুকা রাজাপক্ষে। আইপিএলে গত মাসে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে ২২ বলে ৪৩ রানের ম্যাচ জেতানো ইনিংসের পর বিরাট কোহলি সম্পর্কে রাজাপক্ষে বলেন, ‘ক্রিকেটের ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো।’
কোহলির প্রশংসা করতে গিয়ে রোনালদোকে টেনে আনা মূলত ফিটনেস নিয়ে দুজনের মিল বোঝাতে।
কোহলি এমনিতেই রোনালদোর ভক্ত। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের পর্তুগিজ তারকার প্রতি যে মুগ্ধতা অনেকবারই প্রকাশ করেছেন সাবেক ভারতীয় অধিনায়ক। নিজে ফিটনেস নিয়ে খুব সচেতন, আর এ ব্যাপারে তিনি আদর্শ মানেন রোনালদোকে।
সম্প্রতি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত ভিডিওতেও রোনালদোকে নিয়ে কথা বলেছেন কোহলি। যেখানে নিজের সবচেয়ে প্রিয় অ্যাথলেট হিসেবে রোনালদোকে বেছে নিয়েছেন বেঙ্গালুরুর সাবেক অধিনায়ক।
পরের প্রশ্নটাই ছিল বেশ মজার—ধরুন, কোহলি একদিন ঘুম থেকে উঠে দেখলেন তিনি রোনালদো হয়ে গেছেন। তখন প্রথম কোন কাজটা করবেন?
কোহলির উত্তর, ‘সবার আগে মস্তিষ্কটা স্ক্যান করাব। এত মানসিক শক্তি কোত্থেকে আসে, তা বোঝার চেষ্টা করব।’
৩৭ বছর বয়সী রোনালদোর মানসিক শক্তি নিয়ে প্রশংসা কম হয় না। এই বয়সেও বিশ্বসেরাদের কাতারে নিজেকে ধরে রেখেছেন পাঁচবার ব্যালন ডি’অরজয়ী তারকা। গতি কিছুটা কমলেও তাঁকে নিয়ে এখনো আলাদা করে ছক কষতে হয় প্রতিপক্ষকে। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এ মৌসুমে ৩২ ম্যাচে করেছেন ১৮ গোল।
গোলের ধারাবাহিকতা আগের চেয়ে কমলেও এই বয়সে এমন পারফরম্যান্সের পেছনে মানসিক শক্তির অবদানও স্পষ্ট। রোনালদোর বয়সে অনেকেই যেখানে বুটজোড়া তুলে রাখার সিদ্ধান্ত নেন, সেখানে পর্তুগিজ তারকা এখনো মাঠ দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন।
কোহলির যেমন ফিটনেস, তাতে একদিন তাঁকেও হয়তো অমন বয়সে রোনালদোর মতো পারফর্ম করতে দেখা যেতে পারে। ভারতীয় তারকার মানসিক শক্তি নিয়েও তো কম প্রশংসা হয় না!
ইউটিউব চ্যানেলের ওই ভিডিওতে নিজের ক্যারিয়ারের সবচেয়ে দুঃখের ম্যাচ নিয়েও কথা বলেছেন কোহলি। বলেছেন আসলে দুটি ম্যাচের কথা। দুটিই ২০১৬ সালে। একটি আইপিএল ফাইনাল, যেখানে ২০৯ রান তাড়া করতে নামা বেঙ্গালুরু ভালো শুরু করেও ৮ রানে হেরেছিল। সে বছরই মুম্বাইয়ে টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে হারটাও বড় একটা ক্ষত হয়ে আছে কোহলির মনে।
একটা কারণ তো অবশ্যই দেশের মাটিতে আরেকটি বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলার সুযোগ হারানো। সেই দুঃখ অবশ্য ভারতের সব খেলোয়াড়ের জন্যই। কোহলির দুঃখটা আরেকটু বেশি। কারণ, ওই ম্যাচে ৪৭ বলে ৮৯ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলে ভারতকে ২ উইকেটে ১৯২ রানের বড় স্কোর এনে দিয়েছিলেন তিনি। তারপরও কিনা তাতে মেনে নিতে হয় ৭ উইকেটের বড় পরাজয়! দুঃখ তো হবেই।