কোহলি-বাবর খেলবেন একই দলে?
দুই দেশের রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক টানাপোড়েনে ভারত আর পাকিস্তানের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সিরিজ হয় না প্রায় বছর দশেক হতে চলল। সেই ২০১২-১৩ সালে সর্বশেষ দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলেছে দুই দল। আইসিসির টুর্নামেন্ট ছাড়া সময়ের সেরা ব্যাটসম্যানদের দুজন বিরাট কোহলি ও বাবর আজমের লড়াই দেখার সুযোগই তাই মেলে না।
তা দুজনের লড়াই-ই যেখানে দেখা যায় কদাচিৎ, সেখানে বাবর-কোহলিকে একই দলে খেলতে দেখার অভিজ্ঞতা কেমন হতে পারে? ভারত ও পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় দুই তারকা ব্যাটসম্যানের একই দলে দেখার সম্ভাবনার কথা জানাচ্ছে পাকিস্তানের ক্রিকেটবিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকেট পাকিস্তান। সুযোগটা আগামী বছরই আসতে পারে, ২০২২-২৩ মৌসুমে যে আবার ‘আফ্রো-এশিয়া কাপ’ ফেরানোর সম্ভাবনার কথা শোনা যাচ্ছে।
২০০৫ ও ২০০৭ সালে আফ্রো-এশিয়া কাপ হয়েছিল, তবে রাজনৈতিক ও সম্প্রচারসংক্রান্ত জটিলতার কারণে সেটি আবার হিমাগারে চলে যায়। এখন আবার সেটিকে ফেরানোর প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। আগামী বছরের জুন-জুলাইয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজ দিয়ে এটিকে ফেরানোর পরিকল্পনা। আর সেখানে এশিয়ার দলে ভারত আর পাকিস্তানের সেরা ক্রিকেটাররা যে থাকবেন, তা নিয়ে সংশয় সামান্যই!
‘এখনো বোর্ডগুলোর কাছ থেকে চূড়ান্ত সম্মতি পাইনি। এখনো কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, দুই বোর্ডের চাওয়া-পাওয়া মেনেই সবকিছু ঠিক হবে। তবে আমাদের পরিকল্পনা হচ্ছে ভারত ও পাকিস্তানের সেরা খেলোয়াড়দের এশিয়ান একাদশে রাখা। পরিকল্পনা চূড়ান্ত হয়ে গেলে আমরা স্পনসরশিপ আর সম্প্রচারস্বত্ব নিয়ে কাজে নামব। অনেক অনেক বড় একটা আয়োজন হবে এটি। অনেক বড়!’ যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত সাময়িকী ফোর্বসে বলেছেন এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) বাণিজ্য ও আয়োজন বিভাগের প্রধান প্রভাকরণ থানরাজ।
এ টুর্নামেন্ট দিয়ে ভারত আর পাকিস্তানের ক্রিকেট সম্পর্কে উন্নতির স্বপ্ন দেখেন টুর্নামেন্টটির প্রধান নির্বাহী কমিটির গুরুত্বপূর্ণ সদস্য দামোদারের, ‘এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সম্পর্কটা উন্নত করতে, খেলোয়াড়দের একসঙ্গে খেলার সুযোগ করে দিতে চাইব। আমি নিশ্চিত খেলোয়াড়েরা এমন কিছু হতে দেখতে চায়, রাজনীতিকে এসবের বাইরেই রাখতে চায়। ভারত আর পাকিস্তানের খেলোয়াড়দের একই দলে খেলতে দেখা কী অসাধারণ একটা ব্যাপারই না হবে!’
আফ্রো-এশিয়া কাপের আগের সংস্করণগুলোতেও ভারত ও পাকিস্তানের খেলোয়াড়েরা একসঙ্গেই খেলেছেন। দক্ষিণ আফ্রিকা, জিম্বাবুয়ে ও কেনিয়ার খেলোয়াড়দের নিয়ে গঠিত আফ্রিকান একাদশের বিপক্ষে এশিয়ার দলে পাকিস্তানের শোয়েব আখতার, শহীদ আফ্রিদিরা সঙ্গী হয়েছিলেন ভারতের বীরেন্দর শেবাগ, রাহুল দ্রাবিড়দের।
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) অবশ্য জানিয়েছে, তাদের সঙ্গে এখনো এ নিয়ে আলোচনা হয়নি।