‘কোহলি কি মনে করে, সে ক্রিকেট থেকে যা পাওয়ার পেয়ে গেছে’
বিরাট কোহলিই গত এক দশকে ক্রিকেট দুনিয়ার সেরা ব্যাটসম্যান, এ নিয়ে সন্দেহের কোনো অবকাশ ছিল না। সাফল্য তাঁকে সর্বকালের সেরাদের তালিকায় নিয়ে যাবে কি না, আলোচনা ছিল সেটি নিয়েই। অনেকেই তো বলছিলেন, কোহলি যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছেন, তাতে শচীন টেন্ডুলকারের রেকর্ডগুলো যদি তিনিই ভেঙে ফেলেন, অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
কিন্তু ২০১৯ সাল থেকে কোহলির ফর্ম পড়তির দিকে। যে ব্যাটসম্যানকে মনে করা হচ্ছিল টেন্ডুলকারের ১০০ আন্তর্জাতিক শতকের রেকর্ড ভাঙবেন, সেই কোহলিরই ২০১৯ সালের নভেম্বর থেকে শতক নেই। এবারের আইপিএলে তো ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বাজে ফর্ম কাটিয়েছেন। মোটকথা, গত এক দশকের কোহলির সঙ্গে হালের কোহলিকে মেলাতে বেশ অসুবিধাই হচ্ছে ভক্তদের।
পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদি অবশ্য কোহলির বিষয়টিকে একটু অন্যভাবে দেখেন। তাঁর সন্দেহ, কোহলি নিজেকে ছাড়িয়ে যাওয়ার সব প্রেরণা বা উৎসাহ এরই মধ্যে হারিয়ে ফেলেছেন কি না, ‘কোহলি কি মনে করছে, সে ক্রিকেট ক্যারিয়ারে যা পাওয়ার সব পেয়ে গেছে? এমন যদি হয়, তাহলে কিন্তু সমস্যা।’
আফ্রিদির কাছে ক্রিকেটে সাফল্য পুরোপুরি একজন খেলোয়াড়ের মনোভাব বা মানসিকতার ওপরই নির্ভর করে, ‘আমি সব সময় এটি বিশ্বাস করি। একজন খেলোয়াড় সাফল্যের ব্যাপারে ক্ষুধার্ত কি না, সেটি গুরুত্বপূর্ণ। আমি জানতে চাই, কোহলি কি এখন সেই একই মনোভাব নিয়ে খেলছে, যে মনোভাব তাঁর ১০ বছর আগে ছিল? নাকি সে মনে করে, ক্রিকেট থেকে যা পাওয়ার, সে পেয়ে গেছে! সে আবারও বিশ্বের এক নম্বর ব্যাটসম্যান হতে চায় কি না, সেটি তাকে ঠিক করতে হবে।’
এ মুহূর্তে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টি–টোয়েন্টি সিরিজে খেলছেন না কোহলি। স্ত্রী আনুশকা শর্মা ও একমাত্র কন্যাকে নিয়ে ছুটি কাটাচ্ছেন। আইপিএলে যখন বাজে ফর্মের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন, তখন রবি শাস্ত্রীসহ বেশ কয়েক সাবেক তারকা তাঁকে আইপিএল বাদ দিয়ে নিজেকে পুরোপুরি আপন ভূবনে গুটিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। তাঁদের সেই পরামর্শের মূল ছিল, কোহলি যেন চনমনে মানসিকতা নিয়ে আবারও ক্রিকেটে ফিরে পারফরম করতে পারেন।