‘কোহলি আইপিএল থেকে সরে দাঁড়াক’
কিছুতেই কিছু হচ্ছে না বিরাট কোহলির। ব্যাটে রানের ভীষণ খরা। এমন বাজে অবস্থার মধ্য দিয়ে কোহলি শেষ কবে গেছেন, তিনি নিজেও হয়তো মনে করতে পারবেন না। আইপিএলে ৯ ম্যাচে মাত্র ১২৮ রান। আগের দুই ম্যাচে লক্ষ্ণৌ সুপারজায়ান্টস আর সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে শূন্য রানে ফিরেছেন, কাল ব্যাটিং পজিশন বদলেও রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে ৯ রানের বেশি করতে পারেননি।
সব ধরনের ক্রিকেট মিলিয়ে এক শ-রও বেশি ম্যাচে কোনো শতক না পাওয়ার হাহাকারও আছে। বিশ্বের সেরা ব্যাটসম্যানের এমন অসহায় অবস্থা সহ্য হচ্ছে না অনেকেরই। ভারতীয় দলে তাঁর সাবেক ‘গুরু’ রবি শাস্ত্রী কিছুদিন আগেই বলেছিলেন কোহলির বিশ্রাম নেওয়া উচিত। এবার তিনি কোহলিকে আইপিএল থেকেই সরে যেতে বলেছেন।
শাস্ত্রী মনে করেন, মানসিক প্রশস্তির জন্যই কোহলির সরে দাঁড়ানো উচিত। ইউটিউবের এক আলোচনায় ভারতের সাবেক কোচ বলেন, ‘আমার মনে হয়, এ মুহূর্তে বিশ্রামটা কোহলির খুবই প্রয়োজন। সে টানা ক্রিকেট খেলে চলেছে অনেক দিন ধরেই। এখন বিশ্রামে যাওয়াটা ওর জন্য সঠিক সিদ্ধান্তই হবে। অনেক সময় সবকিছুতেই একটা ভারসাম্য আনা জরুরি। এ মুহূর্তে সে আইপিএল খেলছে। কোহলি যদি নিজের ক্যারিয়ার দীর্ঘ করতে চায়, তাহলে আইপিএল থেকে সে সরে দাঁড়াক। এটা ওর জন্যই ভালো হবে।’
এটা কেবল কোহলি নয়, খারাপ ফর্মের মধ্য দিয়ে যাওয়া যেকোনো ক্রিকেটারের জন্যই আদর্শ সিদ্ধান্ত বলে মনে করেন শাস্ত্রী, ‘এটা কেবল কোহলি নয়, যে কেউই করতে পারে। কেউ যদি ভারতের হয়ে ১৪-১৫ বছর ধরে খেলতে চায়, তাহলে একটা জায়গায় ভারসাম্য আনতে হবে। তাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, কোন সময়টাতে তাকে বিশ্রামে যেতে হবে, কখন টানা খেলতে হবে। আইপিএলের ক্ষেত্রে সেই খেলোয়াড় ফ্রাঞ্চাইজিকে আগেই বলে দিতে পারে, সে কয়টা ম্যাচ খেলবে, সে অনুযায়ী যেন তাঁর পারিশ্রামিক গোনা হয়। এই সিদ্ধান্তগুলো নিতে হবে, যদি পেশাদার ক্যারিয়ারে সর্বোচ্চটা পেতে চায়।’
কোহলিকে নিয়ে হতাশ হলেও শাস্ত্রী মনে করেন, তাঁর সেরাটা এখনো দেওয়ার বাকি, ‘কোহলি এখনো তরুণ। সে খুব সহজেই ভারতের হয়ে আরও ৫-৬ বছর খেলে যেতে পারবে। তবে তার এখনকার ফর্ম নিয়ে তাকে ভাবতে হবে। মৌলিক দিকগুলোতে ফিরতে হবে। তার ভাবনা, তার খেলা—সবকিছু নিয়েই নতুন করে ভাবতে হবে। অতীতে অনেক খেলোয়াড়ই এমন অবস্থার মধ্য দিয়ে গেছে। প্রথম বলে শূন্য রানে আউট হওয়া নিয়ে আমি চিন্তিত নই। তবে উইকেটে জমে গিয়ে আউট হওয়াটা বেশি হতাশাজনক।’