‘কোচ’ মোস্তাফিজের কাছ থেকে শিখছেন শরীফুল
ওয়ানডে সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে চোটের কারণে মোস্তাফিজুর রহমানকে পায়নি বাংলাদেশ। মোস্তাফিজের জায়গায় ওই দুই ম্যাচে খেলেছেন আরেক বাঁহাতি পেসার শরীফুল ইসলাম। সুযোগ পেয়ে এক ম্যাচে ৪ উইকেটসহ মোট ৫ উইকেট নিয়েছেন এই তরুণ বাঁহাতি পেসার। মোস্তাফিজ দলে নেই, এই অভাবটা যেন টের পেতে দেননি শরীফুল।
টি-টোয়েন্টি সিরিজের গল্পটাও একই। চোট থেকে সেরে ওঠা মোস্তাফিজ প্রথম ম্যাচ খেলে ৩১ রানে ৩ উইকেট পেয়েছেন। সেদিন ৩ ওভারে ১৭ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন শরীফুলও। কিন্তু সে ম্যাচে পায়ে ব্যথা অনুভব করায় পরের ম্যাচে আর মোস্তাফিজকে নিয়ে ঝুঁকি নেয়নি বাংলাদেশ। মোস্তাফিজের অবর্তমানে শরীফুল যেন আরও তেতে উঠলেন নিজেকে প্রমাণের মিশনে। ৩৩ রানে ৩ উইকেট নিয়ে তিনিই ছিলেন দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ দলের সফলতম বোলার।
দুজনের মধ্যে সম্পর্কটাও দারুণ। সবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখা শরীফুলের কাছে অভিজ্ঞ মোস্তাফিজ অনেকটা কোচের মতোই। অনুশীলন কিংবা ম্যাচে মোস্তাফিজ নাকি নিয়মিতই শরীফুলের ভুল ধরিয়ে দেন। আজ বিসিবির পাঠানো এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলছিলেন, ‘মোস্তাফিজ ভাই না থাকাতে দল একটু চাপে আছে। আমি চেষ্টা করতেছি, সেটা যাতে না থাকে। আর সব সময় মোস্তাফিজ ভাই আমাকে অনুশীলনে কোনো বাজে বল করলে ধরিয়ে দেন। কী করলে ভালো হবে, কী করলে ভালো হবে না, সেটা বলেন। অনুশীলনে কোনো ভুল হলে উনি কোচের মতোই অনেকটা শিখিয়ে দেন।’
জাতীয় দলের পেস বোলিং কোচ ওটিস গিবসনের সঙ্গে কাজ করেও নাকি উপকার পাচ্ছেন শরীফুল, ‘এখানে আসার পরে শুরুতে লাল বলে ব্যস্ত হয়ে গিয়েছিলাম। যখন টেস্ট খেলা শুরু হয়ে গেছে, তখন সাদা বলে অনুশীলন শুরু করেছি প্রথম দিন থেকে। প্রথমে ওয়ানডের জন্য প্রস্তুতি নিয়েছি। ওটিস গিবসনের সঙ্গে অনেক কাজ করেছি। তিনি আমাকে অনেক ভালো ভালো পরামর্শ দিয়েছেন। ব্যাটসম্যানকে কীভাবে পড়তে হয়। তারপর নতুন বলে ও পুরাতন বলে অনুশীলন করছি। সেগুলো ম্যাচে প্রয়োগ করার পর ভালো ফল আসছে।’
সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত শরীফুলের জিম্বাবুয়ে সফরটা ভালোই যাচ্ছে। আগামীকাল সফরের ম্যাচটা জিতে টি-টোয়েন্টি সিরিজটা জিতে ষোলোকলা পূর্ণ করতে চান তিনি, ‘আমাদের জন্য ম্যাচটা ফাইনালের মতো। কাল যদি ব্যাটসম্যান, বোলিং, ফিল্ডিংয়ে নিজেদের সেরাটা দিতে পারি, তাহলে সহজেই জিততে পারব বলে আমার মনে হয়। প্রথম বল থেকে শেষ পর্যন্ত আমরা ইতিবাচক থাকব। জেতার মনোভাব নিয়েই নামব।’