কাপালির ঘূর্ণি, খুলনাও দুই শ পায়নি
>বিপিএলে আজ শেষ ম্যাচে সিলেট সিক্সার্সের বিপক্ষে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৯ উইকেটে ১৭০ রান তুলেছে খুলনা টাইটানস
বিপিএলের সিলেট পর্বে দলের সঙ্গে ছিলেন না নাসির হোসেন। এ নিয়ে প্রশ্ন উঠলে ফ্র্যাঞ্চাইজি দলটির ম্যানেজার তামজিদুল হক চোট থেকে ফিরে নাসিরের মানিয়ে নিতে তাঁকে সময় দেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন। বলেছিলেন, ‘আবার যখন ঢাকায় ফিরব, সে দলের সঙ্গে যোগ দেবে।’ সিলেট পর্ব শেষে ঢাকায় ফিরেছে সিক্সার্স। এর মধ্যে তাঁরা হারিয়েছে অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নারকে। ঢাকায় ফিরতি পর্বে তাই সিলেটের অধিনায়ক হিসেবে অনেকেই প্রত্যাশা করেছিলেন আগেরবার নেতৃত্ব দেওয়া নাসিরকে। সেই আশায় গুঁড়েবালি। নাসির দলে ফিরলেও সিলেটের নেতৃত্বে সোহেল তানভীর।
নাসির নেতৃত্ব পাননি তবে বল হাতে পেয়েছিলেন। তাঁকে এই ভূমিকায় দেখে ভক্তরাও হয়তো খুশি হয়েছিলেন। কিন্তু সেই খুশি মিলিয়ে গেছে নাসির এক ওভার বল করার পরই। ১৯ রান দিয়েছেন! নাসিরের এই খরুচে বোলিংয়ে খুলনার ইনিংস নিয়েও কিছুটা ধারণা পাওয়া যায়। হারের বৃত্তে ঘুরপাক খাওয়া খুলনা আজ আগে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই হু হু করে রান তুলেছে। ফর্মে থাকা জুনায়েদ সিদ্দিকির সঙ্গে ওপেন করতে নেমেছিলেন ব্রেন্ডন টেলর। ৬.৫ ওভারে তাঁদের জুটি ভাঙার আগে স্কোরবোর্ডে উঠেছে ৭৩ রান। কিন্তু এত ভালো শুরুর পরও দুই শ-র দেখা পায়নি খুলনা। ৯ উইকেটে ১৭০ রান তুলেছে দলটি।
অলক কাপালিকে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন ২৩ বলে ৩৩ রান করা জুনায়েদ। অন্য প্রান্তে টেলর রান তোলার গতি ধরে রাখলেও মিডল অর্ডার ধসে পড়েছে খুলনার। দুই ওপেনার ছাড়া ন্যূনতম ৩০ রানের ওপরে করেছেন সাতে নামা ডেভিড ভিসে। মাঝের ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় তাই ভালো শুরু পেয়েও শেষ পর্যন্ত স্কোরটা দুই শ-র ওপাশে নিতে পারেনি খুলনা। প্রথম ১০ ওভার শেষে খুলনার স্কোর ছিল ২ উইকেটে ৯২। মাত্র ৩ ওভারের ব্যবধানে সেটি হয়ে দাঁড়ায় ৫ উইকেটে ১১২!
১৩তম ওভারে কাপালি একাই ফিরিয়েছেন টেলর ও আরিফুল হককে। ২ ছক্কা ও ৪ চারে ৩১ বলে ৪৮ রানের দারুণ ইনিংস খেলেছেন জিম্বাবুইয়ান টেলর। মূলত সিলেটের স্পিনেই টপ অর্ডার ও মিডল অর্ডার হারিয়েছে খুলনা। ২২ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন কাপালি। ২৬ রানে ২ উইকেট আরেক স্পিনার মোহাম্মদ নওয়াজের।
শেষ দিকে খুলনার রানের চাকা ঘোরানোর চেষ্টা করেছেন ডেভিড ভিসে। ২৫ বলে ৩৮ রান করে শেষ ওভারে আউট হন তিনি। শেষ ৩০ বলে ৫০ রান তুলেছে খুলনা। এর মধ্যে ভিসে একাই করেছেন ৩৩ রান। সিলেটের পেসারদের মধ্যে তাসকিন ৩৫ রানে ২ উইকেট নেন।