২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

করোনায় ছেঁকে ধরা ভারতে কীভাবে হবে আইপিএল?

করোনা আক্রান্ত ভারত কীভাবে আইপিএল আয়োজন করবে? ফাইল ছবি
করোনা আক্রান্ত ভারত কীভাবে আইপিএল আয়োজন করবে? ফাইল ছবি

আইপিএল নিয়ে রীতিমতো মরিয়া ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। আগামী সেপ্টেম্বর–অক্টোবরে তারা মাঠে নামাতে চায় দুনিয়ার সবচেয়ে ‘অর্থকরী’ এই ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ। এ জন্য যদি ভারতের বাইরে, কিংবা দর্শকশূন্য অবস্থাতেও আয়োজন করতে হয়, তা–ই সই! কিন্তু ভারতে করোনা পরিস্থিতি উন্নতির কোনো লক্ষণ নেই এখন পর্যন্ত। এরই মধ্যে সবচেয়ে বেশি করোনায় আক্রান্ত দেশের তালিকায় চতুর্থ স্থানে উঠে এসেছে ভারত।

গতকাল বৃহস্পতিবার ভারত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যায় যুক্তরাজ্যকে ছাড়িয়ে গেছে। প্রতিদিনই ভারতে রেকর্ডসংখ্যক মানুষ কোভিড–১৯–এ আক্রান্ত হচ্ছেন। গতকাল পর্যন্ত ভারতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ৯৭ হাজার ৮৩২। যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল আর রাশিয়াই কেবল এখন ভারতের ওপরে অবস্থান করছে।


ভারতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ৮ হাজার ১০২ জন মানুষ মারা গেছেন। এ অবস্থায় আইপিএল আয়োজনের ভাবনাটা কতটুকু বাস্তবসম্মত, সে প্রশ্ন থাকছেই।

তবে আইপিএল আয়োজিত না হলে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে বিপুল আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে। আগামী সেপ্টেম্বর–অক্টোবরে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলেই কেবল এ আয়োজন সম্ভব বলে মনে করে বিসিসিআই।


বুধবারই বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলী ভারতের সব রাজ্য ক্রিকেট সংস্থার কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন তিনি। তাতে ইঙ্গিত আছে সেপ্টেম্বর–অক্টোবরে, প্রয়োজনে দর্শকশূন্য অবস্থায় আইপিএল আয়োজনের। তিনি সেই চিঠিতে লিখেছেন, ‘ক্রিকেটপ্রেমী, ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিক থেকে শুরু করে সবাই মুখিয়ে আছে আইপিএল নিয়ে। দরকার হলে দর্শকশূন্য মাঠেই আইপিএল হবে। বিসিসিআই এ ব্যাপারে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেবে।’

তবে আইপিএল হওয়া, না–হওয়া পুরোপুরি নির্ভর করছে টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজনের ওপর। অক্টোবরে এটি অস্ট্রেলিয়াতে হওয়ার কথা। এ ব্যাপারে আইসিসি কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনো নেয়নি।

বিসিসিআই এবারের আইপিএল যদি আয়োজন করতে পারে, তাহলে সেটি হবে ভিন্নভাবেই। দর্শকশূন্য অবস্থায় আয়োজনের কথা বলা হয়েছে, প্রতিযোগিতার ভ্যেনু কমিয়ে নিয়ে আসা হতে পারে। দু–একটি ভ্যেনুতেই শেষ করে দেওয়া হতে পারে এটি। আর সমূহ সম্ভাবনা আছে বিদেশি ক্রিকেটার ছাড়াই আয়োজনের। প্রয়োজনে এটি সংযুক্ত আরব আমিরাত, এমনকি শ্রীলঙ্কাতেও আয়োজিত হতে পারে।

মার্চ–এপ্রিলের দিকেই জানা গিয়েছিল আইপিএল আয়োজিত না হলে বিসিসিআইয়ের ক্ষতির পরিমাণটা। এমন একটা পরিস্থিতিতে ভারতীয় বোর্ড কীভাবে আইপিএল আয়োজন করে, সেটিই এখন দেখার বিষয়।