ওয়ানডে অধিনায়কত্ব হারাচ্ছেন—দেড় ঘণ্টা আগেও জানতেন না কোহলি
অবশেষে নীরবতা ভাঙলেন বিরাট কোহলি।
টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরই এ সংস্করণে ভারত জাতীয় দলের অধিনায়কত্ব ছাড়েন তিনি। কিন্তু ওয়ানডে দলের অধিনায়কত্বও যে ছাড়তে হবে তাঁকে, তা কি তিনি জানতেন! কোহলি যে ঘুণাক্ষরেও টের পাননি!
গত বুধবার দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের জন্য ভারতের টেস্ট স্কোয়াড ঘোষণার পাশাপাশি একটি ‘বোমা’ ফাটায় দেশটির ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। টি–টোয়েন্টির পাশাপাশি ভারত ওয়ানডে দলেরও অধিনায়কত্ব করবেন রোহিত শর্মা।
ব্যস, শুরু হয় বিতর্ক। রোহিত–কোহলি সম্পর্কে পুরোনো ফাটল এবং বোর্ডের সঙ্গে কোহলির বিরোধ নিয়ে শুরু হয় নতুন গুঞ্জন। এত দিন এসব নিয়ে চুপ করে থাকা কোহলি আজ সংবাদ সম্মেলনে তির ছুড়লেন বোর্ডের দিকে।
দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের জন্য টেস্ট দল ঘোষণার দেড় ঘণ্টা আগে ওয়ানডে অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার কথা জানানো হয় তাঁকে—এমন দাবিই করেছেন কোহলি।
গত ১৬ সেপ্টেম্বর টি–টোয়েন্টি সংস্করণে ভারতের অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা দেন কোহলি। বলেছিলেন, টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর এ সংস্করণের নেতৃত্ব ছাড়বেন। তারপর থেকে ৮ ডিসেম্বর (যেদিন টেস্ট দল ঘোষণা হলো) পর্যন্ত ওয়ানডে দলের অধিনায়কত্ব নিয়ে কোহলির সঙ্গে কোনো আলোচনাই নাকি করেনি বিসিসিআই।
সংবাদ সম্মেলনে কোহলি তা-ই বললেন, ‘৮ ডিসেম্বর টেস্ট সিরিজের জন্য নির্বাচকদের বসার দেড় ঘণ্টা আগে (ওয়ানডে অধিনায়কত্ব ছাড়া নিয়ে) আমার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। নির্বাচকদের ফোন পাওয়ার আগে আমার সঙ্গে টি–টোয়েন্টিতে অধিনায়কত্ব ছাড়ার ঘোষণার দিন থেকে ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত কেউ আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেননি।’
ওয়ানডে অধিনায়কত্ব থেকে সরানোর ঘোষণা তাঁকে কীভাবে জানানো হয়েছিল, সেটিও ব্যাখ্যা করেছেন কোহলি, ‘প্রধান নির্বাচক (চেতন শর্মা) আমার সঙ্গে টেস্ট দল নিয়ে কথা বলেন। আমরা সে বিষয়ে একমত হই। ফোন রাখার আগে তিনি জানান, আমাকে আর ওয়ানডে অধিনায়ক পদে রাখা হবে না। পাঁচ নির্বাচক মিলেই সিদ্ধান্তটা নিয়েছেন।’
জবাবে কোহলির প্রতিক্রিয়া কী ছিল? ভারতের টেস্ট অধিনায়ক সেটিও জানিয়েছেন সংবাদ সম্মেলনে, ‘আমি বলি, “ঠিক আছে।” তার আগে এ নিয়ে আমার সঙ্গে কোনো কথা হয়নি।’