ওপেনার মিচেল যখন ‘ফিনিশার’
একে তো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল। এমন দল চাপে পড়লে ভালো খেলা কঠিন হয়ে পড়ে। মিচেল এ চাপের মধ্যেই অবিশ্বাস্য ব্যাট করেছেন।
ওপেন করতে নেমে শুরুতে ছন্দে ছিলেন না ড্যারিল মিচেল। টাইমিংয়ে গড়বড় হচ্ছিল। বল ঠিকমতো ব্যাটে নিতে পারেননি। তবে উইকেটে সময় কাটানোর সঙ্গে মিচেলের সমস্যাও ধীরে ধীরে কেটে যায়।
নিউজিল্যান্ডের জন্য যখন তাঁর হাত খোলার দরকার ছিল, মিচেল জ্বলে উঠলেন ঠিক তখনই। ৪৭ বলে তাঁর ৭২ রানের অপরাজিত ইনিংসটি ইংল্যান্ডকে হারিয়ে নিউজিল্যান্ডের ফাইনালে ওঠার পথে ‘নিউক্লিয়াস’–এর মতো কাজ করেছে।
একে তো টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল। এমন দল চাপে পড়লে ভালো খেলা কঠিন হয়ে পড়ে। মিচেল এই চাপের মধ্যেই অবিশ্বাস্য ব্যাট করেছেন। সুযোগমতো চার–ছক্কা মেরে ম্যাচটা শেষ দিকে টেনে এনেছিলেন মিচেল।
দল জয় থেকে ১২ বলে ২০ রানের সমীকরণে থাকতে ক্রিস ওকসের ওপর দিয়ে ঝড় বইয়ে দেন ডানহাতি এই ওপেনার। দুই ছক্কা ও এক চারে ওই ওভারেই খেলা শেষ করেন তিনি। তাঁর আগে মিচেল এক প্রান্ত আগলে রেখেছেন, ডেভন কনওয়ে–জিমি নিশামরা অন্য প্রান্ত থেকে দ্রুত রান তুলেছেন।
টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে কখনো ওপেন করেননি মিচেল। এই বিশ্বকাপে কথা ছিল নিশামের সঙ্গে ‘ফিনিশার’–এর ভূমিকায় তিনি খেলবেন। মিচেল আজ শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত খেলে প্রমাণ করলেন, ওপেন করার পাশাপাশি ম্যাচ শেষ করার দক্ষতাও তাঁর আছে।
৪ ছক্কা ও ৪ চারে সাজানো ইনিংসে ভর করে নিউজিল্যান্ডের জয়ের পর মিচেল বলেন, ‘শুরুটা চ্যালেঞ্জিং ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দায়িত্বটা পালন করতে পেরে ভালো লাগছে। আমাদের একটা কিংবা দুটো বড় ওভার দরকার ছিল। তারা (নিশাম ও কনওয়ে) মেরেছে সেটা দারুণ ছিল।’
ড্যারিল মিচেলের বাবা জনি মিচেল আবুধাবি স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে বসে দেখেছেন। বাবাকে নিয়েও কথা বলেন মিচেল, ‘বিশ্বের এক প্রান্ত থেকে উড়ে এসে বাবার জন্য এ ম্যাচটা দেখা ছিল দারুণ ব্যাপার।’