বাংলাদেশ ক্রিকেটে ওপেনার মানেই তামিম ইকবাল। ইনিংসের উদ্বোধনে ড্রেসিংরুম থেকে তামিমের হেঁটে যাওয়ার দৃশ্যের সঙ্গেই বাংলাদেশ ক্রিকেট পরিচিত। সংখ্যাও তাই বলে।
প্রায় দেড় দশকের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে তামিম ৩৭০টি ম্যাচ খেলে ব্যাটিং করেছেন ৪২৯ ইনিংসে। যেখানে ৪২৮ ইনিংসেই তামিম ছিলেন ওপেনার। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে একটিমাত্র ইনিংসে পাঁচ নম্বরে নামতে হয়েছে তামিমকে। ২০১৭ সালে পচেফস্ট্রুম টেস্টে ৪৯ মিনিট ফিল্ডিংয়ের বাইরে থাকার সময় দক্ষিণ আফ্রিকা ইনিংস ঘোষণা করায় তামিমকে বাধ্য হয়ে দেরিতে নামতে হয়।
এ ছাড়া তামিম মানেই ওপেনার, বাংলাদেশ ক্রিকেটে এর ব্যত্যয় এখন পর্যন্ত ঘটেনি। বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং কোচ জেমি সিডন্স অবশ্য তামিমকে ‘চার নম্বর’ ব্যাটসম্যান হিসেবে দেখছেন!
আজ মিরপুরে শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ক্রিকেটারদের ঐচ্ছিক অনুশীলন শেষে সিডন্স বলছিলেন সেই সম্ভাবনার কথা, ‘একটু নিচে নামতে পারলে তামিমেরও ভালো লাগবে বলে আমার ধারণা। আমার মতে, চার নম্বরে সে খুবই ভালো করবে।’
তবে তামিমের চারে ব্যাটিং করা মানে ইনিংসের উদ্বোধনে শূন্যতা তৈরি হওয়া। সেই চ্যালেঞ্জ নিয়েও ভাবতে হচ্ছে টিম ম্যানেজমেন্টকে, ‘তার আগে তো আরেকজন ওপেনার খুঁজে বের করতে হবে! ঘরোয়া ক্রিকেটে বা ‘এ’ দলে কিংবা টাইগার্সে পারফর্ম করেনি, এমন কাউকে স্রেফ ওপরে ঠেলে দিতে পারি না। এটাই চ্যালেঞ্জ আমাদের জন্য। তামিমকে চারে নামাতে হলে আরেকজন ভালো ওপেনার লাগবে।’
বাংলাদেশ দলের আরেক ব্যাটসম্যান লিটন দাসের ব্যাটিং অর্ডার নিয়েও ইদানীং প্রশ্ন উঠছে। টেস্ট ক্রিকেটে ছয় নম্বরে ব্যাটিং করে সম্প্রতি দারুণ সফল এই উইকেটকিপার। ফর্মে থাকা এই ব্যাটসম্যানের সর্বোচ্চটা পেতে টপ অর্ডারে খেলানোর একটা আলোচনা আছে।
কিন্তু লিটনের জন্য লোয়ার মিডল অর্ডারকেই আদর্শ জায়গা বলছেন সিডন্স, ‘সে তো সবশেষ ম্যাচেও ছয়ে ব্যাট করল। সে শীর্ষ ছয়ে উঠে এসেছে, যা তার জন্য আদর্শ।’