এশিয়া কাপে আবারও দ্বিতীয় সারির দল পাঠাবে ভারত
২০১৮ এশিয়া কাপ এখনো দাগ হয়ে আছে বাংলাদেশের সমর্থকদের মনে। আরও একবার ভারতের কাছে শেষ বলে হেরেছে বাংলাদেশ। সে টুর্নামেন্টে শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানকে দারুণভাবে হারিয়ে ফাইনালে গিয়েছিলেন মুশফিক-মাশরাফিরা। তবে ভারতের সঙ্গেই পেরে ওঠেনি বাংলাদেশ। সুপার ফোরেও ভারতের কাছে হেরে গিয়েছিল বাংলাদেশ। সেটা পূর্ণ শক্তির ভারত ছিল না। মাত্র একজনের অনুপস্থিতিই সেটা হতে দেয়নি। বিরাট কোহলির শূন্যস্থান যে বিশ্বের যেকোনো দলই অনুভব করত। ২০১৮ সালের ভারত তো বটেই।
বর্তমান এশিয়ান চ্যাম্পিয়নরা কোহলিকে ছাড়াই শিরোপা জেতায় এবারও আত্মবিশ্বাস পাচ্ছে। আর সে কারণেই হতো আগামী এশিয়া কাপে দ্বিতীয় সারির দল পাঠানোর চিন্তাও মাথায় আসছে। শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া টুর্নামেন্টে ভারতের মূল দলকে দেখার সম্ভাবনা খুব কম। এখন পর্যন্ত যা ইঙ্গিত তাতে, দ্বিতীয় সারির এক ভারতীয় দলকেই হয়তো দেখা যাবে মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের প্রতিযোগিতায়।
প্রতি বৈশ্বিক টুর্নামেন্টের ধরনের ওপর নির্ভর করে এশিয়া কাপের ধরন। এ কারণে ২০১৬ এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টি সংস্করণে হয়েছিল। আবার ২০১৮ এশিয়া কাপ হয়েছিল ৫০ ওভারের। ২০২০ সালের এশিয়া কাপও সে ছন্দ মেনে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে হওয়ার কথা। করোনার কারণে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মতো এশিয়া কাপও পিছিয়ে গেছে। সূচি এখনো নিশ্চিত নয়, তবে এখন পর্যন্ত যা ইঙ্গিত, জুনের শেষ দিকে শ্রীলঙ্কায় হওয়ার কথা সেই টুর্নামেন্ট।
এই সূচিই ঝামেলা পাকাচ্ছে। কারণ, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৩-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে ভারত। আগামী ১৮ জুন থেকে ২২ জুন লর্ডসে নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হবে ভারত। এমনিতেই আইপিএলের জন্য নির্ধারিত সূচির চেয়ে এক সপ্তাহ পেছানো হয়েছে এই ম্যাচের তারিখ। বৈশ্বিক করোনা পরিস্থিতিতে ২২ জুন পর্যন্ত লন্ডনে থাকা একটি দলের পক্ষে সে মাসেরই শেষে শ্রীলঙ্কায় গিয়ে কোনো টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়া কঠিন। কারণ, সব দেশেই ভ্রমণে কোয়ারেন্টিন পর্ব পার হতে হয় দলগুলোকে।
আগস্টেই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ টেস্টের সিরিজ শুরু হবে ভারতের। এই অবস্থায় জুনে একবার ইংল্যান্ডে গিয়ে শ্রীলঙ্কায় ফিরে এসে আবার ইংল্যান্ডে যাওয়ার ঝক্কি নিতে রাজি নয় ভারত। টাইমস অব ইন্ডিয়া বলছে, এ পরিস্থিতিতে দ্বিতীয় সারির এক দলকেই এশিয়া কাপে পাঠানোর চিন্তা বিসিসিআইয়ের। বোর্ডের এক বিশ্বস্ত সূত্র পত্রিকাকে জানিয়েছে, ‘কোনো সম্ভাবনা নেই (এশিয়া কাপে মূল দল পাঠানোর)। আমরা ইংল্যান্ড সিরিজের প্রস্তুতি নিয়ে কোনো ঝুঁকি নিতে রাজি না। আর ক্রিকেটাররাও দুবার কোয়ারেন্টিনের মধ্যে যেতে পারে না। যদি এশিয়া কাপ হয়ই, ভারতের দ্বিতীয় দল পাঠানো ছাড়া উপায় নেই।’
এর আগেই পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের হর্তাকর্তা এহসান মানি শঙ্কার কথা জানিয়েছিলেন। ভারত টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠলে এশিয়া কাপ হবে কি না, এমন সন্দেহের কথা বলেছিলেন। তবে ভারত দ্বিতীয় সারির দল পাঠিয়ে সে সমস্যার সমাধান করে ফেললেও মানি হয়তো এতে খুশি হবেন। দ্বিতীয় সারির ভারত দল মানেই এতে বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা, যশপ্রীত বুমরা, মোহাম্মদ শামি, ঋষভ পন্ত, অজিঙ্কা রাহানে, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, রবীন্দ্র জাদেজাদের পাওয়া যাবে না। টানা দুবারের এশিয়ান চ্যাম্পিয়নরা সে ক্ষেত্রে কাদের পাঠাবে, এ নিয়েই বরং আলোচনা হতে পারে।