এমন বোকামি কীভাবে করলেন পাকিস্তান অধিনায়ক?
>ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে টম কারেনকে রানআউট করেও আবেদন করেননি পাকিস্তান অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ। নিজের এই বোকামির ব্যাখ্যা দিয়েছেন তিনি।
ইংল্যান্ড-পাকিস্তান ওয়ানডে সিরিজের চতুর্থ ম্যাচটি তো দেখে থাকলে প্রশ্নটা জাগবেই। পাকিস্তান অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ ৪৩তম ওভারে টম কারেনের রানআউটের আবেদন কেন করলেন না? ওটা আউট হলে কিন্তু ম্যাচের ফল পাল্টেও যেতে পারত।
নটিংহামে পরশু পাকিস্তানের ৩৪০ রান তাড়া করে জিতেছে ইংল্যান্ড। স্বাগতিকদের এ জয়ে টম কারেনের ৩০ বলে ৩১ রান বেশ বড় ভূমিকা রেখেছে। সপ্তম উইকেটে স্টোকস-কারেনের ৬১ রানের জুটিতে জয়ের সুবাস পাচ্ছিল দলটি। কারেন আউট হওয়ার পর হাতে ৪ উইকেট রেখে ১৬ বলে ২২ রান দরকার ছিল ইংল্যান্ড। অথচ ইংল্যান্ডের এ বোলিং অলরাউন্ডার ব্যক্তিগত ৬ রানেই আউট হতে পারতেন। সেই সুযোগ নিতে পারেনি পাকিস্তান। আর সুযোগটি হেলায় নষ্ট করেছেন স্বয়ং পাকিস্তানের অধিনায়ক ও উইকেটরক্ষক সরফরাজ আহমেদ।
ইংল্যান্ডের ইনিংসে তখন ৪৩তম ওভারের খেলা চলছে। মোহাম্মদ হাসনাইনের করা দ্বিতীয় বলটি মিড উইকেটে ঠেলে দিয়েই রান নিতে চেয়েছিলেন কারেন। ননস্ট্রাইক প্রান্তে থাকা বেন স্টোকস প্রান্ত বদল করতে চাননি। কারেনকে তিনি ফেরত পাঠান। ওদিকে ফিল্ডারের থ্রো স্টাম্পে লাগলেও রানআউট হওয়া থেকে কোনোমতে বেঁচে যান কারেন। কিন্তু বল সরাসরি স্টাম্পে লেগে ফাঁকা জায়গায় চলে গেলে দুটি রান নেওয়ার সুযোগ পেয়ে যান স্টোকস-কারেন জুটি। আর এই ২ রান নিতে গিয়েই রানআউট হয়েছিলেন কারেন।
দ্বিতীয় রান নিতে স্ট্রাইক প্রান্তে পড়িমরি করে ছুটছিলেন কারেন। ফিল্ডারের থ্রো পেয়ে স্টাম্প ভাঙেন সরফরাজ। ওটা রানআউট ছিল কি না, তা সাদা চোখে বোঝা যায়নি। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয়, সরফরাজ নিজেও আউটের আবেদন করেননি আর মাঠের আম্পায়ারও তৃতীয় আম্পায়ারের দ্বারস্থ হননি। পরে ভিডিও রিপ্লেতে দেখা গেছে, সরফরাজ স্টাম্প ভাঙার সময় কারেনের ব্যাট ক্রিজের দাগের বাইরে ছিল।
ম্যাচটি জিতে ইংল্যান্ড ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ জয় নিশ্চিত করে। আর হারের পর সংবাদ সম্মেলনে রান আউটের আবেদন না করা নিয়ে প্রশ্নবাণের মুখে পড়েন পাকিস্তান অধিনায়ক সরফরাজ, ‘কোচ রানআউটের ব্যাপারে বলেছেন। আমি ভেবেছিলাম বেলস দুটি আগেই পড়েছে। ভেবেছিলাম তৃতীয় আম্পায়ার টিভি রিপ্লেতে দেখে থাকলে তা মাঠের আম্পায়ারকে বলবে।’
অধিনায়কের এভাবে আত্মপক্ষ সমর্থন করাকে পাকিস্তান–সমর্থকেরা নিশ্চিতভাবেই ভালোভাবে নেবে না। সিরিজে চতুর্থ ম্যাচটা ছিল পাকিস্তানের জন্য বাঁচা–মরার লড়াই। এমন ম্যাচে রানআউট করার সুযোগ নষ্ট করলে কার সহ্য হয়!