২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

এখন ম্যাচগুলো একটু জমুক

কিউই কণ্ঠ
কিউই কণ্ঠ

শেষ হয়ে গেল কোয়ার্টার ফাইনাল, এখন অপেক্ষা সেমিফাইনালের। প্রথমেই আমার যেটি মাথায় আসছে, এবার ম্যাচগুলো একটু জমুক! কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচগুলো ছিল ভালো-মন্দে মেশানো, কিছু কিছু ক্ষেত্রে হতাশাজনকও। দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড, ভারত—সবাই সহজ জয় পেয়েছে। যদিও অস্ট্রেলিয়াকে জয় পেতে কিছুটা ঘাম ঝরাতে হয়েছে, তার পরও পাকিস্তানকে তারা হারিয়েছে ৬ উইকেটে। আশা করি, সেমিফাইনালের ম্যাচ দুটি দুর্দান্ত হবে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে নিউজিল্যান্ড ১৪৩ রানের সহজ জয়ই পেয়েছে, তবে ম্যাচটা বেশ রোমাঞ্চ ছড়িয়েছে। একসময় ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে নিউজিল্যান্ড পাত্তাই পেত না। ’৭০ ও ’৮০-এর দশকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সমীহ করার মতো দল ছিল, ১৯৭৫ ও ১৯৭৯ সালে দুবার বিশ্বকাপও জিতেছিল। বাজে ফর্ম, খেলোয়াড়দের অন্তর্দ্বন্দ্ব তো আছেই, কিছুদিন আগে ভারত সফর থেকে ফিরে এল তারা। তার ওপর এবার কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়কেও দলে নেওয়া হয়নি। এসব তাদের ক্ষতি করেছে। সম্প্রতি কার্টলি অ্যামব্রোস বোলিং কোচ হয়েছেন, পেসারদের জন্য তাঁর অভিজ্ঞতা কতটুকু কাজে দেবে, সেটা ভবিষ্যৎ বলে দেবে।
নিউজিল্যান্ড এই ম্যাচের আগে ফেবারিট ছিল, কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজকে নিয়েও কথা হচ্ছিল। ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই কিংবদন্তি স্যার ভিভ রিচার্ডস ও ব্রায়ান লারা বলেছিলেন, তাঁরা ব্ল্যাক ক্যাপদের হারাতে পারেন। কার্টলি অ্যামব্রোস বলেছিলেন, ‘তারা এই ম্যাচে তো বটেই, বিশ্বকাপেই ফেবারিট। আমরা তা নই। এই অতিরিক্ত চাপ যদি ওরা সামলাতে না পারে, তাহলে আমাদের জেতার সম্ভাবনা আছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে জিততে হলে মানসিকতা হবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। খেলোয়াড়দের দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন নেই, কিন্তু ধারাবাহিকতার অভাবে দল ভালো কিছু করতে পারছে না।’
তাঁর কথাই কিন্তু ঠিক হয়েছে। নিউজিল্যান্ড মানসিকভাবে শক্ত ছিল, আর সব বিভাগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ধারাবাহিকতার অভাবই তো দেখা গেছে। ক্যারিবীয় বোলাররা প্রচণ্ড মার খেয়েছে, মার্টিন গাপটিল ২৩৭ রানের দুর্দান্ত একটা ইনিংস খেলেছে। ব্যাট করতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ কিছুটা ঝলক দেখিয়েছে। আগে-পরে গিয়ে তারা ভুল করেছে। ৪ উইকেট নিয়ে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি এখন ট্রেন্ট বোল্ট।
প্রথম সেমিফাইনালেও একই অবস্থা, দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে শ্রীলঙ্কা পাত্তাই পায়নি। দক্ষিণ আফ্রিকার পেস তো লঙ্কান ব্যাটিংয়ের জন্য বড় হুমকিই ছিল। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয়, ডুমিনি আর তাহিরের স্পিনই শেষ পর্যন্ত তাদের সর্বনাশ করেছে। দুজন মিলে নিয়েছে ৭ উইকেট। সাধারণত উপমহাদেশের দলগুলো স্পিন ভালো খেলে, আমি এতে একটু অবাক হয়েছি। টুর্নামেন্টে শ্রীলঙ্কার সবচেয়ে বাজে ম্যাচ ছিল এটি। মাহেলা জয়াবর্ধনে ও কুমার সাঙ্গাকারার মতো দুই কিংবদন্তির এমন বিদায় প্রাপ্য ছিল না। শ্রীলঙ্কার জন্য তারা যা করেছে, তাতে শেষ ম্যাচটা আরেকটু অন্য রকম হতে পারত। (হক-আই)।