একেবারেই বিদায় বলে দিলেন ডি ভিলিয়ার্স
জাতীয় দল থেকে অবসর নিয়েছিলেন আগেই। ২০১৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার জার্সি তুলে রাখা সাবেক অধিনায়ক এবি ডি ভিলিয়ার্স তবু বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলে গেছেন।
আইপিএলের রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু থেকে শুরু করে পাকিস্তানের লাহোর কালান্দার্স, বিপিএলের রংপুর রাইডার্স, বিগ ব্যাশের ব্রিসবেন হিট—অনেক ফ্র্যাঞ্চাইজির জার্সিই গায়ে চড়িয়েছেন। এবার সে যাত্রারও ইতি টানলেন এই তারকা ব্যাটসম্যান। জানিয়ে দিলেন, সব ধরনের ক্রিকেট থেকে সরে দাঁড়ানোর সময় এসেছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজের এই সিদ্ধান্তের ব্যাপারে আজ জানিয়েছেন ডি ভিলিয়ার্স। আগে যেমন আগ্রহ-উদ্দীপনা নিয়ে ক্রিকেট খেলতেন, এই বয়সে এসে তেমনটি পাচ্ছেন না বলেই এ সিদ্ধান্ত, ‘অসাধারণ একটা যাত্রা ছিল আমার। কিন্তু আমি সব ধরনের ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সেই ছোটবেলায় আমার বড় ভাইয়ের সঙ্গে যখন বাড়ির উঠানে ক্রিকেট খেলতাম, তখন থেকেই খেলাটা উপভোগ করেছি, চূড়ান্ত আগ্রহ নিয়ে খেলেছি। এখন ৩৭ বছর বয়সে এসে সে আগ্রহ অত বেশি কাজ করে না এখন আর। এটাই বাস্তবতা, যা আমাকে মেনে নিতে হবে।’
‘হয়তো আমার এই ঘোষণা অনেকের কাছে আকস্মিক বলে মনে হতে পারে। তা–ও আমি আজকেই এই ঘোষণাটা দিচ্ছি। আমার সময় হয়ে গিয়েছে। ক্রিকেট আমায় অনেক কিছু দিয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকা, টাইটানস, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু কিংবা বিশ্বের অন্য যেকোনো জায়গায় যেখানেই খেলি না কেন, এই খেলা আমায় অনেক কিছু দিয়েছে, যার জন্য আমি আজীবন কৃতজ্ঞ থাকব।’—যোগ করেছেন ডি ভিলিয়ার্স।
বিদায়বেলায় পরিবার থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক এই অধিনায়ক, ‘আমি আমার প্রত্যেক সতীর্থ, প্রত্যেক প্রতিপক্ষ, প্রত্যেক কোচ, প্রত্যেক কর্মী ও প্রত্যেক চিকিৎসাকর্মীকে ধন্যবাদ জানাতে চাই, যাঁরা আমার এই যাত্রায় শরিক হয়েছেন। দক্ষিণ আফ্রিকা, ভারতসহ বিশ্বের যেকোনো জায়গায় আমি খেলেছি, তাদের সমর্থন পেয়েছি। যার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। শেষে যাদের কথা না বললেই নয়, আমার পরিবার। এত কিছু সম্ভব হতো না, যদি না আমার পরিবার আমার জন্য ত্যাগ স্বীকার না করত। আমার মা–বাবা, আমার ভাই, আমার স্ত্রী ড্যানিয়েলে ও আমার সন্তানেরা। আমি আমার জীবনের পরবর্তী অধ্যায়ের জন্য অধীরভাবে অপেক্ষা করছি, যে অধ্যায়ে তারাই থাকবে আমার মূল অগ্রাধিকার।’
১৭ বছরের ক্যারিয়ারে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ১১৪ টেস্ট, ২২৮ ওয়ানডে ও ৭৮ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন ডি ভিলিয়ার্স। ২০২০ সালে জাতীয় দলের হয়ে আবারও ফিরতে চেয়েছিলেন, কিন্তু বোর্ড কর্তাদের অনাগ্রহের কারণে সে ইচ্ছা পূরণ হয়নি। দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের হয়ে ২০০৮ থেকে তিন বছর খেলে ডি ভিলিয়ার্স ২০১১ সাল থেকে আইপিএলে খেলছিলেন বেঙ্গালুরুর হয়ে। এরপর আর ফ্র্যাঞ্চাইজি বদল করেননি। বিরাট কোহলির নেতৃত্ব ছাড়ার পর তিনি বেঙ্গালুরুর অধিনায়কত্ব পেতে পারেন, এমনটাই মনে করা হচ্ছিল। অবসরের ঘোষণা দিয়ে সে আলোচনা থামিয়ে দিলেন ডি ভিলিয়ার্স।