চোটের কারণে টেস্ট দলের নিয়মিত পেসারদের পাচ্ছে না বাংলাদেশ দল। তাসকিন আহমেদ আগে থেকেই নেই। শ্রীলঙ্কা সিরিজের প্রথম টেস্ট দিয়ে শরীফুল ইসলাম খেলায় ফিরলেও চোটের কারণে কাল থেকে শুরু হতে যাওয়া মিরপুর টেস্টে তাঁকে পাচ্ছে না বাংলাদেশ।
মূল দুই পেসারের না থাকা যেমন অধিনায়ক মুমিনুল হকের জন্য হতাশার, তেমনি সুযোগও। টেস্ট দলের পেস বোলিং আক্রমণের অন্য সদস্যরা কেমন করেন, তাসকিন-শরীফুল না থাকায় সেই পরীক্ষা নিতে পারছেন তিনি।
আজ মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে মিরপুর টেস্ট–পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে মুমিনুল সে কথাই বলেছেন, ‘মাঝেমধ্যে এমন বাধাবিপত্তি আসতে পারে। তাসকিন যত দিন খেলেছে, খুব ভালো বল করেছে। সঙ্গে শরীফুলও ভালো অবদান রেখেছে টেস্ট দলে। ওদের জায়গায় যারা খেলবে, তাদের জন্য এটা বিরাট সুযোগ। আমার জন্যও একটা সুযোগ ওদের দেখে নেওয়ার। টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে আমি চাই আমার একঝাঁক পেসার থাকুক, স্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতা হোক। তাই এটা আমার জন্যও সুযোগ। ভবিষ্যতে টেস্ট দলের জন্য কী করতে পারবে, কীভাবে উন্নতি করতে পারবে, এসব আমিও দেখে নিতে পারব।’
দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে শরীফুল ও তাসকিনের অবর্তমানে হঠাৎই খেলার সুযোগ পেয়ে যান খালেদ আহমেদ। সেই খালেদই ডারবান ও পোর্ট এলিজাবেথ টেস্টে বাংলাদেশ দলের সেরা পেসার ছিলেন। দুই ম্যাচে ৩২.৮৭ গড়ে নিয়েছেন ৮ উইকেট। দক্ষিণ আফ্রিকার এই পারফরম্যান্সের সৌজন্যে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টের দলেও খালেদকে দলে রাখা হয়। তবে প্রথম টেস্টে কোনো উইকেটই পাননি তিনি।
তবে এক ম্যাচের পারফরম্যান্সের কারণে খালেদকে যে বাদ দেওয়া হচ্ছে না, সেটি বোঝা গেল মুমিনুলের কথায়, ‘দক্ষিণ আফ্রিকায় ভালো করেছে। কিন্তু চট্টগ্রামে লাইন-লেংথটা আরও ভালো হতে পারত ওর। ঢাকায় যেহেতু আমরা অনেক ক্রিকেট খেলি, সেও জানে এখানে কোন লেংথে বল করতে হবে। আশা করি, সে এখানে ভালো করবে।’
শরীফুলের চোটে মিরপুর টেস্টে খালেদের সঙ্গী হতে পারেন ইবাদত। তাঁর কাছেও অধিনায়কের আশাটা বড়, ‘আমি সব সময় আশাবাদী থাকতে পছন্দ করি। দক্ষিণ আফ্রিকায় দ্বিতীয় টেস্টে অনেক ভালো বল করেছিল ইবাদত। ওর জন্য এটা ভালো সুযোগ।’