২২ বছরের তরুণ। জম্মু-কাশ্মীরের ফাস্ট বোলার। স্পিডোমিটারে যার গতি তরতরিয়ে উঠে যায় ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটারে। উইকেট নিয়েছেন ২২টি। এবারের আইপিএলে নজরে আসার মতো এমন অনেক কিছুই করেছেন উমরান মালিক। তাঁর দল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ আইপিএল প্লে–অফে জায়গা পায়নি, কিন্তু আইপিএল আলোচনায় ঘুরেফিরে আসছে এই তরুণ ফাস্ট বোলারের নাম।
বাংলাদেশ দলের সাবেক কোচ ডেভ হোয়াটমোরও সেই আলোচনায় যোগ দিয়েছেন। মালিকের রাজ্য জম্মু-কাশ্মীরের একটি বেসরকারি স্কুলের ক্যাম্পে অংশ নিতে এসে এই অস্ট্রেলীয় কোচ বলেছেন, ‘উমরান মালিক যেন পেস বোলিংয়ে এক ঝলক সুবাতাস নিয়ে এসেছে। আইপিএলে তাকে ধরে রাখার পর থেকেই সে দারুণ সফল। এটা কিন্তু বিরাট ব্যাপার। আমি নিশ্চিত এই রাজ্যে অনেকেই মালিকের মতো হতে চাইবে।’
আশা করি যে জাতীয় দলের হয়েও ভালো করবে। আমি তাকে অভিনন্দন জানাতে চাই। ধাপে ধাপে যেন সে উন্নতি করতে পারে, সে আশাই করি।
এবারের আইপিএলের পারফরম্যান্স দিয়ে প্রথমবারের মতো ভারতীয় দলে জায়গা করে নিয়েছেন মালিক। ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের দলে মালিককে রাখা হয়েছে। হোয়াটমোর মালিককে অভিনন্দন জানিয়ে বলেছেন, ‘আশা করি যে জাতীয় দলের হয়েও ভালো করবে। আমি তাকে অভিনন্দন জানাতে চাই। ধাপে ধাপে যেন সে উন্নতি করতে পারে, সে আশাই করি।’
আইপিএলের আলোচনায় রাজস্থান রয়্যালস ও গুজরাট টাইটানসের মধ্যকার আজকের ফাইনালের প্রসঙ্গও এসেছে। হোয়াটমোর অবশ্য ফাইনালে কোন দলের সমর্থন করছেন, সেটি বললেন না, ‘আমি নিশ্চিত না আমার কোন দলের সমর্থন করা উচিত। দুই দলের জন্যই আইপিএল শিরোপা জেতার দারুণ সুযোগ এটি। আজ দিন শেষে হয়তো জানা যাবে কে জিততে যাচ্ছে। তবে দুই দলই খুবই ভালো দল।’
জম্মু-কাশ্মীরে আসার অভিজ্ঞতার কথাও জানিয়েছেন হোয়াটমোর। ১৯৭৯ সালে অস্ট্রেলিয়া দলের হয়ে ভারত সফরের স্মৃতি রোমন্থন করে হোয়াটমোর বলছিলেন, ‘আমি ১৯৭৯ সালে অস্ট্রেলিয়া দলের সঙ্গে ভারত সফর করেছিলাম। তখন শ্রীনগরে একটা ম্যাচ খেলেছিলাম। ম্যাচটা ছিল সফরের প্রথম ম্যাচ। শ্রীনগরে আসার সেটাই আমার প্রথম অভিজ্ঞতা। অসাধারণ অনুভূতি ছিল সেটি। এবার দ্বিতীয়বারের মতো এখানে আসা। আশা করি এটাই শেষ নয়।’