ইংল্যান্ডে সিরিজ জেতার স্বপ্ন দেখছেন আজহার
অনেক জল্পনা-কল্পনা আর নাটক শেষে আজ ইংল্যান্ডের দিকে উড়াল দিচ্ছে পাকিস্তান। আগস্টে তিন টেস্ট ও তিন টি-টোয়েন্টি খেলার জন্য ইংল্যান্ডে যাচ্ছে পাকিস্তান দল। এর আগে করোনা পরীক্ষা নাটকে ১০ ক্রিকেটারের যাত্রা পিছিয়ে গেছে অন্তত এক সপ্তাহের জন্য। তবু সিরিজ শুরু হতে যেহেতু এখনো অনেক বাকি, স্বাগতিকদের হারানোর স্বপ্ন নিয়েই পাকিস্তান ছাড়ছেন টেস্ট অধিনায়ক আজহার আলী।
ইংল্যান্ডে গিয়ে ১৪ দিন বসেই থাকতে হবে পাকিস্তান দলকে। জৈব-নিরাপদ কন্ডিশনে ১৪ দিন থাকার পর স্বাভাবিকভাবে অনুশীলন ও খেলা শুরু করতে পারবে পাকিস্তান। তবে এসব নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছেন না আজহার। বহুদিন পর ক্রিকেট মাঠে ফেরার আনন্দ তাই লুকাননি গতকাল এক ভিডিও কনফারেন্সে।
নিজেদের বোলিং আক্রমণ নিয়ে উচ্ছ্বসিত আজহার শুধু ব্যাটসম্যানদের একটু সহযোগিতা চান। তাহলেই নাকি ইংল্যান্ডকে সিরিজে হারাতে পারবে তাঁর দল, 'আমার মনে হয়, যদি আমাদের ব্যাটিং ৩০০ বা এর বেশি তুলতে পারে, আমরা ইংল্যান্ডকে হারাতে পারব। গত কয়েক সফরে আমরা দারুণ প্রত্যাবর্তন করেছি এবং ভালো করেছি।'
তারুণ্যনির্ভর বোলিং আক্রমণ নিয়ে প্রচন্ড আশা দেখাচ্ছে আজহারকে, 'আমার ধারণা আমাদের পেস ও স্পিন আক্রমণ ইংল্যান্ডের ভালোই পরীক্ষা নেবে। শাহীন শাহ আফ্রিদি, নাসিম শাহ অথবা মোহাম্মদ হাসনাইনের (করোনা পরীক্ষার ফলে ইংল্যান্ড যেতে পারছেন না আজ) ইংল্যান্ডের ভালো করার ভালো সম্ভাবনা আছে। আমাদের বোলিংয়ের ভালো অভিজ্ঞতাও আছে।'
পেসারদের ওপর অনেক ভরসা রাখছেন আজহার। কিন্তু ক্রিকেটের নতুন নিয়মে এখন লালা ব্যবহার করা যাবে না। ফলে বল চকচকে রাখা কঠিন হবে। রিভার্স সুইং পাওয়া তো আরও কষ্টকর। কিন্তু আজহারের কাছে এ বিষয়গুলো গুরুত্ব পাচ্ছে না, 'আমার মনে হয় না এটা কোনো বড় সমস্যা। পেসাররা অনেক ঘামে আর ডিউক বলে মোমের আস্তর পনেক। ফলে বল লম্বা সময় ধরে চকচক করে। আর এটা ঘাম দিয়েও চকচকে রাখা যায়। ইংল্যান্ডে বোলাররা ডিউক বলে এমনিতেই মুভমেন্ট পায়। আর লালা ব্যবহার না করার মানে হলো বোলারদের রিভার্স সুইং করানোর চেষ্টা আরও বেশি করে করতে হবে।'